আলিপুর চিড়িয়াখানা
গত বছর আমপানের জেরে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল আলিপুর চিড়িয়াখানায়। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, আগামী বুধবার আরও একটি ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়তে চলেছে বাংলা-ওড়িশার উপকূলে। আমপানের বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার আরও সতর্ক কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষায় কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা নিয়ে জারি করা হল নির্দেশিকা।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বুধবার চিড়িয়াখানার বাঘ, লেপার্ড, সিংহ, জাগুয়ারদের তাদের ঘর থেকে বের করানো যাবে না। কাঠের বাক্সে রাখতে হবে কোবরা, অ্যানাকোন্ডাকে। বাঁধা থাকবে হাতি। চিড়িয়াখানা এখন ৯টি জিরাফ। তাদের জন্য তিনটে ঘরও রয়েছে। হরিণ রয়েছে ৬০-৭০টি। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রয়োজন পড়লে জিরাফদেরও তাদের ঘরে আটকে রাখতে হবে। তবে হরিণদের ঘরের বাইরে নেটের মধ্যে রাখতে হবে। ঝড়ের দাপটে যদি গাছ ভেঙে পড়ে, লোহার জাল কেটে যায় এবং তারা বাইরে বেরিয়ে আসে, সে ক্ষেত্রে তাদের জাল দিয়ে ধরার ব্যবস্থা রয়েছে।
ইতিমধ্যেই চিড়িয়াখানার প্রাণীদের সুরক্ষার স্বার্থে বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। ওই দলে ৩০-৩৫ জন থাকবেন। কোনও প্রাণী আহত হলে তাদের চিকিৎসায় এক জন চিকিৎসক, ২ জন সহকারী এবং ২ জন হাসপাতাল কর্মী থাকবেন ওই বিশেষ দলে। চিড়িয়াখানায় ঢোকার পথে এবং ভিতরে দু’ভাগ হয়ে কাজ করবে ওই দল, জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আশিষ সামন্ত।
গত বছর আমপানের সময়ে কমপক্ষে ৪০টি গাছ পড়েছিল চিড়িয়াখানায়। তাই এ বছর আগে থেকেই বেশ কিছু গাছ ছেঁটে ফেলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy