Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
rape

Hanskhali Rape and Murder: কারা ছিলেন সৎকারে? আবার গ্রামে সিবিআই

সিবিআইয়ের একটি দল এ দিন যান এফআইআর-এ নাম থাকা পরিমল বিশ্বাসের বাড়ি। মৃতার মায়ের দায়ের করা অভিযোগে রয়েছে, পরিমল ও অংশুমান তাঁর মেয়ের মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে গিয়ে সৎকার করেন।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাঁসখালি শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২২ ০৫:৪৯
Share: Save:

নদিয়ার ধর্ষণ-মৃত্যু কাণ্ডে কারা মৃতার পরিবারকে হুমকি দিয়েছিল, তা নিয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে সিবিআই। সেই সঙ্গে তারা এ-ও বুঝে নিতে চাইছে যে মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য সত্যিই কোনও জোর খাটানো হয়েছিল কি না।

মঙ্গলবার দুপুরে সিবিআইয়ের চার জনের একটি দল মৃতার গ্রামে যায়। দলের দু’জন যান শ্মশানে, যেখানে কোনও ডাক্তারের দেওয়া ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়াই মৃতদেহটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই শ্মশানে থাকেন এক প্রৌঢ়া। মেয়েটির মৃতদেহ যখন শ্মশানে নিয়ে আসা হয়, তিনি সেখানে ছিলেন এবং সৎকার করতে এসেছে তা-ও দেখেছেন বলে তিনি আগেই সিবিআই-কে জানিয়েছিলেন।

এ দিনও সিবিআই অফিসারেরা শ্মশানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেন। মৃতদেহ নিয়ে আসা থেকে সৎকার পর্যন্ত নানা খুঁটিনাটি বিষয় তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। মৃতার মা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিলেন, তাঁর ‘স্বামীর উপস্থিতিতে’ সৎকার করা হয়। সে ক্ষেত্রে প্রমাণ লোপাটের মামলায় তাঁর নামও জড়িয়ে যেতে পারে বলে গ্রামে আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে মৃতার বাবা ও জেঠতুতো দাদাকে এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছএ সিবিআই। তাঁদের বয়ান মিলিয়ে দেখতেই এ দিন তদন্তকারীরা ফের প্রৌঢ়ার সঙ্গে কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে।

সিবিআইয়ের আর একটি দল এ দিন যান এফআইআর-এ নাম থাকা প্রতিবেশী পরিমল বিশ্বাসের বাড়ি। মৃতার মায়ের দায়ের করা অভিযোগে রয়েছে, পরিমল বিশ্বাস ও অংশুমান বাগচী-সহ কিছু লোকজন তাঁর মেয়ের মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে গিয়ে সৎকার করেন। এ দিন সিবিআই অফিসারেরা যখন যান, সেই সময়ে বাড়িতে ছিলেন না দিনমজুর পরিমল। তিনি মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন বলে পরিবারের দাবি। তাঁর স্ত্রীও বাড়িতে ছিলেন না। পরিবার সূত্রের খবর, পরিমলের এক ভাইয়ের স্ত্রী তারা বিশ্বাস এবং এক ভাইপো সাধন বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অফিসারেরা।

তারার কথায়, “সিবিআই বেশ কিছু বিষয়ে জানতে চায়। বিশেষ করে আমরা কোনও হুমকি দেওয়ার কথা জানি কি না বা আমাদের কেউ হুমকি দিয়েছে কি না।” তাঁরা যাতে ভয় না পান তার জন্য অফিসারেরা বারবার আশ্বস্তও করেন। তদন্তকারীরা জানতে চান— কখন, কী ভাবে তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন? প্রথমে গিয়ে কী দেখেন? ক’টার সময়ে মৃতদেহ সৎকার করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল? তখন কেমন পরিবেশ ছিল? তারার কথায়, “আমরা তো সবটা জানি না। যতটুকু জানি, সবটাই বলেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rape Hanskhali CBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE