গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
নিরাপত্তার স্বার্থে হাঁসখালি গণধর্ষণ-কাণ্ডের নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য এবং সাক্ষীদের নাম ও পরিচয় বদলে ফেলা হোক। মঙ্গলবার এই আবেদন জানানো হল কলকাতা হাই কোর্টে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ জনস্বার্থ মামলা সংক্রান্ত আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে। বুধবার প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনের শুনানি হতে পারে।
জনস্বার্থ মামলাকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি মঙ্গলবার হাঁসখালি-কাণ্ডের সাক্ষী এবং নিহত নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আবেদন জানান হাই কোর্টে। আমেরিকার আইনের উদাহরণ দিয়ে তাঁর দাবি, এ ক্ষেত্রে শুধুই পুলিশি সুরক্ষা দেওয়া নয়, সাক্ষীদের পরিচয়ও গোপন রাখাও কি নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের মধ্যে পড়ে! তাই নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য এবং ঘটনার সাক্ষীদের নাম, পারিবারিক পরিচয়, পেশা, ঠিকানা সব কিছু গোপন রাখার প্রয়োজন।
নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য এবং সাক্ষীদের সরকারি ভাবে নতুন পরিচয়পত্র এবং আধার কার্ড দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে আদালতে। এবং এই নতুন পরিচয়ের কারণে কেউ যেন কোনও সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। হাই কোর্ট জনস্বার্থ মামলার আবেদনে সাড়া দিলি হাঁসখালি নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করবে বলে জানাচ্ছেন আইনজীবীদের একাংশ।
আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী এডুলজি বলেন, ‘‘এঁদের যে ভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে তাতে নিরপত্তার জন্যই তাঁদের নতুন নাম-পরিচয় দেওয়া প্রয়োজন। তারপর তাঁদের রাজ্যের সুরক্ষিত কোনও জায়গায় রাখা প্রয়োজন।’’ তিনি জানান, নিরপত্তার স্বার্থে নতুন নাম-পরিচয় দেওয়ার দৃষ্টান্ত ভারতে নেই। তবে আমেরিকা সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য নাম-পরিচয় বদলের দৃষ্টান্ত রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy