E-Paper

রেলে চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার অভিযুক্ত

শুক্রবার ওড়িশার বাসিন্দা বিশ্বনাথকে ৯ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার সিজেএম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সূর্যতপা মিত্র।

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৫ ০৯:০৬
ধৃতের নাম বিশ্বনাথ সাহু।

ধৃতের নাম বিশ্বনাথ সাহু। —প্রতীকী চিত্র।

রেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দুই যুবকের সঙ্গে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা আর্থিক প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। ধৃতের নাম বিশ্বনাথ সাহু। শুক্রবার ওড়িশার বাসিন্দা বিশ্বনাথকে ৯ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার সিজেএম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সূর্যতপা মিত্র।

আদালত সূত্রের খবর, এই প্রতারণার পিছনে একটি দুষ্কৃতী-চক্র রয়েছে। আরও দুই অভিযুক্তের খোঁজ করছে পুলিশ। মামলার সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিশ্বনাথ ওই চাকরি-চক্রের অন্যতম মাথা। তার বাড়িতেই আর্থিক লেনদেন হয়েছে।’’ প্রতারিত ব্যক্তিরাও ওড়িশার বাসিন্দা। অভিযোগকারীর দাবি, তাঁকে এবং তাঁর বন্ধুকে রেলে গ্রুপ-সি পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেয় প্রতারকেরা। তার জন্য এক-এক জনের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ১০ লক্ষ টাকা নেওয়া হবে বলে রফা হয়। প্রতারিত ব্যক্তিরা ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেন। ঠিক হয়, বাকি টাকা চাকরি পাওয়ার পরে দেওয়া হবে।

তদন্তে উঠে এসেছে, এর পরে প্রতারিতদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য ভুয়ো নথি তৈরি করে শিয়ালদহের বি আর সিংহ হাসপাতালে তাঁদের
স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করানো হয়। তার
পরে তাঁদের ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁরা ফেয়ারলি প্লেসে পূর্ব রেলের সদর দফতরে চাকরিতে যোগ দিতে যান। সঙ্গে
যায় বিশ্বনাথ। আরপিএফ ওই নিয়োগপত্র দু’টি ভিতরে পাঠালে জানা যায়, সেগুলি ভুয়ো। এর পরেই আরপিএফ কর্মীরা বিশ্বনাথকে আটক করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

police investigation Hare Street Police Station

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy