E-Paper

বাংলাদেশি সন্দেহে পা ভাঙল পুলিশ, অভিযোগ শ্রমিকের

উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বিজুভিটার এক পরিযায়ী শ্রমিককে আটকে রেখে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হরিয়ানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৫ ০৭:২৫

—প্রতীকী চিত্র।

কোথাও বাংলাদেশি সন্দেহে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়া, কোথাও রাতভর মহিলাকে থানায় বসিয়ে রেখে হেনস্থা— বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের নির্যাতনের অভিযোগ অব্যাহত নানা রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে। হরিয়ানার পানিপথে বাঙালি শ্রমিকদের উপরে নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে সেখানে গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের দল।

উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বিজুভিটার এক পরিযায়ী শ্রমিককে আটকে রেখে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হরিয়ানা পুলিশের বিরুদ্ধে। অসুস্থ অবস্থায় সাব্বির আলম নামে ওই শ্রমিক বাড়ি ফিরতেই, সোমবার সন্ধ্যায় দেখা করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। কার্পেট কারখানার কর্মী সাব্বিরের অভিযোগ, ২৪ জুলাই তাঁকে বাংলাদেশি সন্দেহে তুলে নিয়ে গিয়ে পুলিশ মারধর করে। পরে, পুলিশ-প্রশাসনের মাধ্যমে নথিপত্র পাঠায় তাঁর পরিবার। এর আগে, বাংলাদেশি সন্দেহে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের এক শ্রমিকের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল হরিয়ানা পুলিশের বিরুদ্ধেই।

মুম্বইয়ে পরিচারিকার কাজে গিয়ে পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন, অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের মহিলা পপি মৈশালের। তাঁর দাবি, মহিলা পুলিশ ছাড়াইতুলে নিয়ে গিয়ে শনিবার রাত থেকে প্রায় ২০ ঘণ্টা আচোলে থানায় আটকে রাখা হয়। রাতভর বসিয়েরাখার পরে, নথিপত্র যাচাই করে রবিবার সন্ধ্যায় ছাড়া হয়। মুম্বইয়ের ওই থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ধ্যানদ্বীপ পাটিল ফোনে বলেন, ‘‘বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে মুম্বই পুলিশের কেন্দ্রীয় অপরাধ দমন শাখা। তারা ওই মহিলাকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বুঝে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’

রাজস্থানে পাথর ভাঙার কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন দুর্গাপুরের ফরিদপুরের বাসিন্দা শ্রীমন্ত মাল। পরিবার জানায়, ২৩ জুলাই শেষ বার ফোনে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তখন শ্রীমন্ত জানিয়েছিলেন, বাড়ি ফিরতে চান। তার পরে আর যোগাযোগকরা যায়নি।

পানিপথে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক আলি ইমরান রাম্‌জ (ভিক্টর), সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়েরা সেখানকার কংগ্রেস নেতাদের সাহাষ্য নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছেন। সূত্রের খবর, দু-এক দিনের মধ্যে সেখানে যেতে পারেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরীও।অধীর বলেন, “দিল্লি পুলিশ বাংলা ভাষা বোঝায় সমস্যার কথা বলছে। অনুবাদ করে সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার রেসিডেন্ট অফিসারকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিক, অথবা আরও কয়েক জন বাঙালিআধিকারিককে পাঠাক।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Migrant Workers Language Issue Bengali Language harassment

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy