Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Hathras Rape Case

তরজায় বিজেপি-তৃণমূল

তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে সিবিআই আর সিটের মধ্যে কোনও ফারাক নেই।

রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ বিজেপির মহিলা মোর্চার। ছবি পিটিআই।

রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ বিজেপির মহিলা মোর্চার। ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২০ ০৫:০৩
Share: Save:

হাথরস-কাণ্ডের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে পথে নামল বিজেপি। তাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী-সহ তৃণমূল উত্তরপ্রদেশের হাথরস-কাণ্ডের প্রতিবাদ করলেও এ রাজ্যে ‘ক্রমবর্ধমান’ নারী নিগ্রহ নিয়ে নীরব। সে দিকে মানুষের নজর টানতে রবিবার মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির মহিলা মোর্চা। রাজ্যে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘হাথরসে যোগী সরকার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এ রাজ্যে যে পরিমাণ ধর্ষণ এবং নারী নিগ্রহের ঘটনা ঘটে, তাতে ১০০টা সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন আছে। মুখ্যমন্ত্রী পার্ক স্ট্রিট, কামদুনির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেননি কেন?’’

তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে সিবিআই আর সিটের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। আর সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে এক বার খাঁচাবন্দি তোতা বলেছিল। বিজেপি শাসনে সেটা আরও বেশি প্রমাণিত হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারই তো বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাইছে! এ রাজ্যে ধর্ষণ বা নারী নিগ্রহ হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়। এখানে মহিলাদের মামলার নিষ্পত্তি করার জন্য অনেক ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট আছে।’’ চন্দ্রিমা মনে করান, এনসিআরবি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে ২০১৯ সালে ৫৯ হাজার ৮৫৩টি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দেশে তফসিলি জাতি ও জনজাতির মানুষদের উপরে যত অত্যাচার হয়, তার চার ভাগের এক ভাগ ঘটে উত্তরপ্রদেশে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE