চলছে ভোটগণনা। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের সাতটি পুরসভায় ভোট গণনা আগামিকাল। কিন্তু ভোট গণনা হলেই যে ফল প্রকাশিত হবে, তা কিন্তু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। রায়গঞ্জ, ডোমকল এবং পূজালি পুরসভার ফল ঘোষণা আটকে যেতে পারে।
কী কারণ?
নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা এবং অবাধ ভোট লুঠের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় প্রদেশ কংগ্রেস। ফল প্রকাশ স্থগিত করার আর্জি জানানো হয় সেখানে। হাইকোর্ট মামলাটি গ্রহণও করেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় মামলার শুনানি। কংগ্রেসের আর্জি মেনে নিয়ে যদি ফল প্রকাশ স্থগিত করে দেয় আদালত, তা হলে বুধবার ওই তিন পুরসভায় হারজিতের ফয়সলা আর হচ্ছে না।
ভোট হয়েছে রবিবার। পাহাড়ের চারটি পুরসভা নিয়ে কোনও অভিযোগ না থাকলেও, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদের ডোমকল এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূজালিতে সে দিন ব্যাপক হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে। কংগ্রেস, বাম, বিজেপি— তিন দলই ভোট বাতিল করার দাবি জানাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দফতরের গিয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস, বাম বা বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার সে দিন দেখা করেননি। কমিশন ভোটের দিন যথাযথ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ— এই অভিযোগ তুলেই কলকাতা হাইকোর্টে কংগ্রেসের আর্জি— রায়গঞ্জ, ডোমকল এবং পূজালিতে ফল ঘোষণা স্থগিত করা হোক। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক মামলাটি শুনবেন। কিন্তু শুনানি বেলা সাড়ে ১০টার আগে কোনও ভাবেই শুরু হবে না। ভোট গণনা তার অন্তত আড়াই ঘণ্টা আগে শুরু হয়ে যাবে। হাইকোর্টে শুনানি শুরু হতে হতে ভোটের ফলও অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে। কংগ্রেসের এই মামলা কি তা হলে আদৌ কোনও কাজে আসবে?
সকাল সাড়ে ১০টায় কলকাতা হাইকোর্ট কংগ্রেসের আবেদনের শুনানি গ্রহণ করবে। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই শুরু হয়ে যাবে গণনা। কিন্তু আদালত স্থগিতাদেশ দিলে, গণনা করেও ফল ঘোষণা করা যাবে না। —প্রতীকী ছবি / সংগৃহীত।
কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী ঋজু ঘোষাল বলছেন, মামলা অবশ্যই কাজে আসবে। ঋজু নিজেই বুধবার এই মামলায় সওয়াল করবেন। তিনি বললেন, ‘‘আমরা ভোট গণনার উপর কোনও স্থগিতাদেশ তো চাইনি। আমরা চেয়েছি ফল প্রকাশ বন্ধ হোক। সকাল থেকে ভোট যেমন গোনা হচ্ছে হোক। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। হাইকোর্ট যদি আমাদের আর্জি মেনে ফল প্রকাশে স্থগিতাদেশ দেয়, তা হলে গণনা শেষ হওয়ার অনেক আগেই সেই নির্দেশ চলে আসবে। ফলে কারা জয়ী হলেন, কারা হারলেন, সে তালিকা আর কমিশন প্রকাশ করতে পারবে না। উইনিং স্লিপও কারওকে দেওয়া যাবে না।’’
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে কী হবে, প্রশ্ন সর্বত্রই
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও মনে করছেন, সঠিক পদক্ষেপই করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তিন পুরসভায় ভোট আদৌ হয়নি। কারা জিততে চলেছেন, তা ভোটের দিনেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই জয়ের শংসাপত্র বিতরণ আটকে দেওয়াটাই সর্বাগ্রে জরুরি। অধীরবাবু মনে করছেন, হাইকোর্ট যদি ফল প্রকাশ আটকে দেয়, তা হলে ভোট গুনে আর কোনও লাভ হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy