Advertisement
E-Paper

ঐত্রীর মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ ১০ লক্ষ

আমরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রায়ের প্রতিলিপি তাঁরা এখনও পাননি। তবে স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশ যা হবে, তা তাঁরা মেনে নেবেন। 

ঐত্রী দে।

ঐত্রী দে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২০ ০৩:০৬
Share
Save

বছর আড়াই আগে মুকুন্দপুরের আমরি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল একরত্তি ঐত্রী দে’র। বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিল তার পরিবার, দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের। প্রায় আড়াই বছর পরে রায় দিয়ে কমিশন জানাল, চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছিল দু’বছর সাত মাসের শিশুটির। তার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আমরি কর্তৃপক্ষকে। এই রায়কে সঙ্গী করেই উচ্চতর আদালতে যেতে চান ঐত্রীর বাবা জয়ন্ত দে এবং মা শম্পা। তাঁদের বক্তব্য, লড়াই এখনও শেষ হয়নি।

আমরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রায়ের প্রতিলিপি তাঁরা এখনও পাননি। তবে স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশ যা হবে, তা তাঁরা মেনে নেবেন।

এ দিন দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিডিয়ো বৈঠকে শুনানি শেষে রায় জানায় কমিশন। ঐত্রীর পরিবার জানিয়েছে, দু’দিনের মধ্যে ই-মেলে মামলার সব পক্ষকে রায়ের কপি পাঠানো হবে বলে কমিশন জানিয়েছে। ‘‘টাকা-পয়সা দিয়ে তো আমাদের মেয়ে ফিরে আসবে না। আর কেউ যাতে এ ভাবে তাঁর সন্তানকে না-হারান, তার জন্য আমাদের লড়াই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’’— বলছেন জয়ন্ত আর শম্পা। আর যাঁদের গাফিলতিতে ঐত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের শাস্তিই পরবর্তী লড়াইয়ের অভিমুখ হবে বলে জানান তাঁরা।

আরও পড়ুন: ভাড়াবাড়ি ছেড়ে ১২ ঘরের ফ্ল্যাটে উঠে গেলেন দিলীপ ঘোষ

২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি সকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ঐত্রী। ১৭ জানুয়ারি সকালে মারা যায় সে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, শিশুর হৃৎপিণ্ডের সমস্যা ছিল। শম্পার বক্তব্য ছিল, তেমন কোনও সমস্যা ছিল না। ভুল ওষুধ দেওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ঐত্রীর। শিশুর অ্যালার্জি পরীক্ষা না-করেই অগমেন্টিনের ইন্ট্রাভেনাস ডোজ় দেওয়া হয় শিশুটিকে। শ্বাসকষ্টেই মৃত্যু হয় তার। ময়না-তদন্তের রিপোর্টে ফুসফুস আর হার্টে একাধিক হেমারেজের উল্লেখ ছিল। যে নার্স ঐত্রীকে ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন, সেই স্মূর্তি প্রজ্ঞা প্রিয়দর্শিনীর নিয়োগপত্র নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। মৃতের পরিবারের দাবি ছিল, ঐত্রীর চিকিৎসায় যুক্ত তিন নার্সের রাজ্য নার্সিং কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন নেই। প্রিয়দর্শিনী আদৌ পাঠক্রম শেষ করেছিলেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন শম্পা। আমরি কর্তৃপক্ষ জানান, তিন জন নার্সই প্রশিক্ষিত এবং নিজেদের রাজ্যে নথিভুক্ত।

আরও পড়ুন: নাইসেড-কর্ত্রী আক্রান্ত, মমতা পাঠালেন ফুল

Amri Hospital State Health Commission Death

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}