ফাইল চিত্র।
দেশে এখনও খোঁজ মেলেনি মাঙ্কি পক্সের। কিন্তু সাবধানতায় ফাঁক রাখতে চায় না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাদের নির্দেশিকা আসতেই মাঙ্কি পক্স নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, সব মেডিক্যাল কলেজের সুপার এবং কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে সতর্ক থাকতে বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মাঙ্কি পক্স ভাইরাস শরীরের ত্বক ভেদ করে প্রবেশ করলেও তা চোখে দেখা যায় না। এ ছড়া শ্বাসনালী-সহ চোখ, নাক অথবা মুখের মাধ্যমেও তা শরীরে ঢুকতে পারে। এই ভাইরাস যেমন প্রাণী থেকে মানব দেহে ছড়ায়, তেমনই মানুষের থেকে অন্য জনের মধ্যেও ছড়াতে পারে। কারও জ্বর, হাতে-পায়ে জলভরা ফুসকুড়ি, চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে খোঁজ নিতে হবে, শেষ ২১ দিনের মধ্যে ওই ব্যক্তি যে-সব দেশে মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, সেখান থেকে এসেছেন কি না। সন্দেহজনক ব্যক্তির রক্ত বা লালারসের নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সাধারণত ৭-১৪ দিনের মধ্যে রোগমুক্তি ঘটলেও অনেক ক্ষেত্রে ৫-২১ দিনও লাগতে পারে। তাই এমন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেলে তাঁর সংস্পর্শে আসা লোকজনকেও চিহ্নিত করে ২১ দিন পর্যন্ত নিভৃতবাসে রাখতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই বলেন, ‘‘কোভিডের মতো নতুন রোগ নয় মাঙ্কি পক্স। এটি পক্স জাতীয় ভাইরাল জ্বর। তবে আমাদের দেশে এখনও কোনও আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাই আতঙ্কের কিছু নেই। আফ্রিকার দেশগুলিতে আগেও এই রোগের প্রভাব দেখা গিয়েছে। সেখানে মৃত্যুহার যে বেশি ছিল, তা-ও নয়। তবে সতর্ক থাকা জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy