Advertisement
E-Paper

সময় চাইল রাজ্য, হাই কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ছাত্রভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি

দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতে গত ১৭ জুলাই নির্বাচন না-হওয়া নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করেছিল উচ্চ আদালত।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৫ ১২:৫৭
হাই কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ছাত্রভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি।

হাই কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ছাত্রভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে গেল কলকাতা হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ২৬ অগস্ট এই মামলাটির শুনানি হবে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে শুনানির জন্য আরও সময় চান। তার পরেই শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানায় উচ্চ আদালত।

রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ উপস্থিত না-থাকায় গত ১ অগস্ট এই মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার ফের পিছোল এই মামলার শুনানি। দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতে গত ১৭ জুলাই নির্বাচন না-হওয়া নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে জানান, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই। তা ছাড়া রাজ্যের কাজ শুধু এই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা। তার পরেই ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করুক রাজ্য, বাকিটা দেখে নেবে আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ এ-ও জানায় যে, এই বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে রাজ্য কী ভাবছে, তা-ও আদালতকে জানাতে হবে।

ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামলাটি করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি হলফনামা তুলে ধরে তিনি জানান, রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কোনও ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। অনেক কলেজে দীর্ঘ দিন ধরে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। বর্তমানে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে কোনও কার্যকর ছাত্র সংগঠন নেই। এই অবস্থায় রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরকে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যে সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ ছাত্র সংগঠন বা সংসদ নেই, অথবা সম্প্রতি ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি, সেখানে ছাত্র সংসদের কক্ষ বা ‘স্টুডেন্ট ইউনিয়ন রুম’ তালাবন্ধ করে রাখতে হবে। কোনও ছাত্র শুধুমাত্র রেজিস্ট্রার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া ইউনিয়ন রুমে প্রবেশ বা ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনও ছাত্র যদি ইউনিয়ন রুমে প্রবেশের অনুমতির জন্য আবেদন করেন, তবে তার কারণ লিখিত ভাবে জানাতে হবে। এই নির্দেশ শুধুমাত্র ‘ছাত্র সংসদ কক্ষ’-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে জানিয়েছিল আদালত।

student election Kalyan Banerjee West Bengal government Students Union
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy