প্রতীকী ছবি।
বানতলায় ট্যানারির জন্য আলাদা জায়গা আছে। ফাউন্ড্রি পার্কের জন্য হাওড়ার সাঁকরাইলে জায়গাও বরাদ্দ। তা হলে বাজির কারখানার জন্যে কেন আলাদা জায়গা থাকবে না? জাতীয় পরিবেশ আদালত এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে অ্যাকশন প্ল্যান জমা দিতে বলেছিল। মঙ্গলবার ছিল তা জমা করার দিন। কিন্তু পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চে রাজ্য সরকার তা দিতে পারেনি। ৫ ডিসেম্বর তা জমা দিতে রাজ্যকে পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের হিসেব, রাজ্যে ১১টি আতসবাজির কারখানায় সব অনুমোদন রয়েছে। বাজি ব্যবসায়ী ও প্রস্তুতকারকদের হিসেব, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলির বিভিন্ন এলাকায় ৩০ হাজার বাজি কারখানা আছে। অভিযোগ, সে সব বেআইনি হওয়ায় পুলিশ-পর্ষদ কারও কাছে সে সবের খবর থাকে না। ওই বেআইনি কারখানা বন্ধ করার উপায় আপাতত নেই বলে পুলিশ ও পর্ষদের কর্তারা বারবার স্বীকার করছেন।
পরিবেশকর্মীদের মতে, বাজি কারখানার জন্য আলাদা করে এক বা একাধিক জায়গা রাখা প্রয়োজন। যেখানে বাজি কারখানাগুলি চলবে। রাজ্যের সব বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করতে চেয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেছেন পর্ষদের অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য আইন আধিকারিক, বর্তমানে পরিবেশকর্মী বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। ওই মামলারই শুনানি ছিল এ দিন। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘‘বাজি কারখানাগুলির জন্য নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ হলে তার বাইরে যেখানে বাজি তৈরি হবে, সে সব কারখানা বেআইনি বলে চিহ্নিত করতে সুবিধে হবে পুলিশ ও পর্ষদের।’’ তাঁর বক্তব্য, দিল্লিতে এ বার দীপাবলিতে সুপ্রিম কোর্ট সব বাজির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কলকাতার বাতাসেও দূষণ কমাতে সব বাজির উপরে নিয়ন্ত্রণ আনতে বাজি কারখানা আলাদা জায়গা বরাদ্দ হওয়া জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy