Advertisement
E-Paper

শুনানি আজ, ফোনেই দায়িত্ব সারলেন সুশান্ত

এক জন শুনানির সময়ে আগাগোড়া বসে থাকতেন এজলাসে। আইনজীবীদের নানা তথ্য দিয়ে সাহায্য করতেন। আর এক জন কলকাতা থেকে ফোনে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেই দায়িত্ব সেরেছেন। রাজ্যের সাত পুরসভায় ভোট সময়ে করানো নিয়ে মামলার শুনানি শুরু হবে কাল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ কে সিক্রি ও বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের অবকাশকালীন বেঞ্চে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৫ ০৪:১২

এক জন শুনানির সময়ে আগাগোড়া বসে থাকতেন এজলাসে। আইনজীবীদের নানা তথ্য দিয়ে সাহায্য করতেন। আর এক জন কলকাতা থেকে ফোনে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেই দায়িত্ব সেরেছেন।

রাজ্যের সাত পুরসভায় ভোট সময়ে করানো নিয়ে মামলার শুনানি শুরু হবে কাল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ কে সিক্রি ও বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের অবকাশকালীন বেঞ্চে। মামলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রাক্তন ও বর্তমান কর্ণধার মীরা পাণ্ডে ও সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়ের এই তফাতের প্রসঙ্গ উঠে আসছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের আলোচনায়।

শুনানির সময় কাল কমিশনের আইনজীবীর কোনও তথ্যের প্রয়োজন হলে, কে তা জোগাবেন? কী ভাবে? সুশান্তবাবু নিজে রয়েছেন কলকাতায়। কমিশনের সচিবকেও নয়, প্রতিনিধি হিসেবে বড়বাবুকে পাঠিয়েছেন দিল্লিতে। তিনি আদৌ কাল এজলাসে ফাইলপত্র নিয়ে হাজির থাকবেন কি না, তা পরিষ্কার হয়নি রবিবারেও।

অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় প্রস্তুতির হাল দেখে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের অনেকে মীরা পাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলছেন। এক আইনজীবীর মন্তব্য, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার সময় মীরাদেবী সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে বসে থাকতেন। নিজে ফাইল খুলে আইনজীবীদের তথ্য জোগাতেন।’’

রাজ্যের হয়ে কাল সওয়াল করবেন কংগ্রেসের দুই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কপিল সিব্বল ও সলমন খুরশিদ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাঁদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কে হবেন, কাল পর্যন্তও তা পরিষ্কার ছিল না। কমিশন সূত্রে আজ জানা গিয়েছে, সিব্বলদের মূল প্রতিপক্ষ হবেন আইনজীবী অনিল দিওয়ান। সঙ্গে থাকবেন আইনজীবী পীযূষকান্তি রায়। গত শুক্রবারই কমিশনের আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছেন পীযূষকান্তি। তিনি বলেন, ‘‘এই মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক অধিকার ও এক্তিয়ারের প্রসঙ্গ উঠবে। তাই সংবিধান বিশেষজ্ঞ অনিলকে নিয়োগ করেছি।’’ কলকাতা হাইকোর্ট সাতটি পুরসভায় ভোট করানোর জন্য যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, সেই ১৬ জুনের মধ্যে বালি, আসানসোল, রানিগঞ্জ, কুলটি, জামুড়িয়া, বিধাননগর ও রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। তার জন্য নিয়মানুযায়ী ২২ মে-র মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হতো। রাজ্য চায়, বিধাননগরের সঙ্গে রাজারহাট-গোপালপুরকে জুড়ে একটি পুর নিগম তৈরি করতে। একই ভাবে বর্ধমানের কুলটি, রানিগঞ্জ এবং জামুড়িয়াকে আসানসোল পুর নিগমের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই ভাবে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুর নিগমের অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। এই সব সংযোজনের পরেই নির্বাচন করাতে চায় রাজ্য।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন কী বলবে সুপ্রিম কোর্টে? তারা কি সংযুক্তিকরণ নিয়ে রাজ্য সরকারের মতকেই সমর্থন করবে? পীযূষকান্তির বক্তব্য, ‘‘এই মামলায় পুরভোটের দিনক্ষণ ঠিক করার ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতার প্রশ্ন জড়িত। আমরা কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে সওয়াল করব।’’ পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য সরকারের হাতে। তা কমিশনকে দেওয়ার দাবি জানানো হবে। কমিশন চায় রাজ্য পুর আইনের সংশোধন।

মীরা পাণ্ডের সময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মামলায় রাজ্য সরকারের হয়ে লড়েছিলেন মীনাক্ষী অরোরা। তাঁর কথা ভাবা হল না কেন? পীযূষকান্তি জানান, মীনাক্ষীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কাল দিল্লিতে থাকছেন না।

new delhi supreme court congress BJP municipal election Kapil Sibal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy