Advertisement
E-Paper

স্থানীয় নেতাদের কাছে ধার ছিল দেবেনের, দাবি তদন্তে

তদন্তকারীদের একাংশ জানান, দেবেন রায়গঞ্জের বিন্দোল এলাকার একটি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ ০৫:৫২
দেবেন্দ্রনাথ রায়। —ফাইল চিত্র।

দেবেন্দ্রনাথ রায়। —ফাইল চিত্র।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর থেকে মৃত্যুর কয়েক মাস আগে পর্যন্ত হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় রাজনৈতিক দলের স্থানীয় একাধিক নেতার কাছ থেকে মোটা টাকা ধারও নিয়েছিলেন— তদন্তে নেমে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে সিআইডি ও উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) সূত্রে জানা গিয়েছে।

তদন্তকারীদের একাংশ জানান, দেবেন রায়গঞ্জের বিন্দোল এলাকার একটি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওই ব্যাঙ্ক থেকে এক কোটিরও বেশি টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠেছিল দেবেনের বিরুদ্ধে। বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা মনসুর আলি জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে ওই অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

সিআইডি সূত্রে খবর, দেবেন-কাণ্ডে ধৃত নিলয় সিংহকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গত শুক্রবার সিআইডি কর্তারা ওই ব্যাঙ্কে গিয়ে বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করেছেন। সিআইডির দাবি, প্রোমোটারি ও চালকল ব্যবসার জন্য গত পাঁচ বছরে দেবেন কয়েক দফায় নিলয় ও মাবুদ আলি সহ আরও কয়েক জনকে প্রায় দেড় কোটি টাকা দিয়েছিলেন। নিলয় ও মাবুদ-সহ কয়েক জন তাঁর টাকা হাতিয়ে নেন।

আরও পড়ুন: শাহকে নালিশ বিস্তার, আজ চোপড়ায় তৃণমূল

বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, ‘‘দেবেনবাবুকে তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে। তাঁর স্ত্রী চাঁদিমা কলকাতা হাইকোর্টে ওই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।’’

রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানির পাল্টা দাবি, ‘‘ধার মেটানোর জন্য দেবেনবাবু আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার আশায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি থেকে আর্থিক সহযোগিতা ও দলে মর্যাদা না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। সে জন্যেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’’

Hemtabad Debendranath Roy MLA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy