মাঝরাতে নয়, দিনের বেলায় জেলের ভিতরে নিজের কুঠুরিতে বসে মোবাইলে কথা বলছিলেন ‘হাই প্রোফাইল’ বন্দি পবন রুইয়া। ঘটনাটি নজরে পড়ে এক কারারক্ষীর। জানাজানি হতে তড়িঘড়ি দমদম জেলের তরফে স্থানীয় থানায় পবন রুইয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, জেলের ভিতরে আলাদা কুঠুরিতে থাকা অবস্থায় কী করে ওই বন্দি আবাসিকের হাতে মোবাইল গেল? যদিও জেল সুপার নিজের দায়িত্ব এড়াতে তড়িঘড়ি বিষয়টি জানিয়ে দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
কারা দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে নিজের সেলে বসে লুকিয়ে মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন জেসপ ও ডানলপ কারখানার কর্তা পবন রুইয়া। জেসপে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সিআইডি তাঁকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছিল। দমদম জেলে বন্দি থাকলেও সম্পূর্ণ একটি আলাদা কুঠুরিতে রুইয়াকে রাখা হয়েছে। তাঁকে কথা বলতে দেখেই এক কারারক্ষী ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেন। পরে জেলের সুপার নবীন সাহা দমদম থানায় পবন রুইয়ার নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ জানিয়েছে, সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। জেল কর্তৃপক্ষ মোবাইলটি রাত পর্যন্ত থানায় জমা দেয়নি। সেটি পুলিশ দমদম জেলে গিয়েই আটক করবে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কারা দফতরেরই একাংশ জানাচ্ছে, জেলের ভিতরে বন্দিদের হাতে ব্লেড, মোবাইল, সিম কার্ড পৌঁছে যাওয়া নতুন কোনও বিষয় নয়। অনেক সময়েই কুখ্যাত বন্দিরা জেলের ভিতরে বসে বাইরের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তাই এ ক্ষেত্রে ঘটনার পিছনে জেলের ভিতরেরই কারও যোগাসাজশ রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
ঘটনা জানাজানি হতেই মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছে কারা দফতর। জেলের সুপার নবীন সাহা বলেন,‘‘এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে এফআইআর করাই নিয়ম। তাই করা হয়েছে।’’ কিন্তু জেলের সুপার হয়ে কী এ ঘটনার দায় এড়াতে পারেন? সুপার নবীনবাবু অবশ্য তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy