Advertisement
E-Paper

ওঠানামার সাপলুডোয় হাসিকান্নার গলাগলি

শুক্রবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরোনোর পরে হাসি-কান্নার, আলো-আঁধারির এই খেলা দেখা গেল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। উজ্জ্বল ফলের সুবাদে কারও কারও চোখে উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। সমুজ্জ্বল উড়ানের পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। আবার মাধ্যমিকে দারুণ ফল করে আলোকবৃত্তে উঠে আসা সত্ত্বেও এ বার ফল আশানুরূপ না-হওয়ায় ভেঙে পড়েছেন কেউ কেউ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৮ ০৪:৪৮
উজ্জ্বল ফলের সুবাদে চোখে উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের স্বপ্ন সুস্পষ্ট। বেথুন স্কুলে। ছবি: সুমন বল্লভ।

উজ্জ্বল ফলের সুবাদে চোখে উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের স্বপ্ন সুস্পষ্ট। বেথুন স্কুলে। ছবি: সুমন বল্লভ।

কেউ ছিলেন এক নম্বরে। সেখান থেকে নেমে গিয়েছেন অনেকটা নীচে।

আবার কেউ বা এ বারেই প্রথম ঢুকে পড়েছেন মেধা-তালিকায়।

কেউ কেউ প্রত্যাশার প্রবল চাপ সয়েও ধরে মেধা-তালিকায় নিজের নাম ধরে রাখতে পেরেছেন।

আবার প্রত্যাশার সামনে ফল ধরে রাখতে না-পেরে নুয়ে পড়েছেন, এমন পরীক্ষার্থীও বিরল নয়।

শুক্রবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরোনোর পরে হাসি-কান্নার, আলো-আঁধারির এই খেলা দেখা গেল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। উজ্জ্বল ফলের সুবাদে কারও কারও চোখে উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। সমুজ্জ্বল উড়ানের পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। আবার মাধ্যমিকে দারুণ ফল করে আলোকবৃত্তে উঠে আসা সত্ত্বেও এ বার ফল আশানুরূপ না-হওয়ায় ভেঙে পড়েছেন কেউ কেউ। নিদারুণ হতাশার মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর আলো হাতড়ে চলেছেন তাঁরা।

২০১৬ সালে কোচবিহারের মাথাভাঙা হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিকে রাজ্যসেরা হয়েছিলেন সৌভিক বর্মণ। পরিবার, প্রতিবেশী থেকে শিক্ষক-বন্ধু— সকলেরই অনেক প্রত্যাশা ছিল তাঁকে ঘিরে। কিন্তু এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা-তালিকায় নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি সৌভিক। তাঁর কথায়, ‘‘ইংরেজি আর জীববিদ্যায় এত কম নম্বর ওঠার কথা ছিল না। প্রথম যদি না-ও হই, আশা ছিল, মেধা-তালিকায় থাকব। ওই দুই বিষয়ে পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করব।’’ মাথাভাঙা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চৈতন্য পোদ্দার বলেন, ‘‘সৌভিক ভালই ফল করেছে। তবে ইংরেজি এবং জীববিদ্যায় আর একটু বেশি নম্বর পেলে ভাল হত।’’

মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এ বার পঞ্চম স্থানে দুবরাজপুর শ্রীশ্রী সারদা বিদ্যাপীঠের রমিক দত্ত। এখন আছেন আইআইটি-র প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলের অপেক্ষায়। মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হয়ে এ বার ষষ্ঠ স্থানে ঘুটিয়াবাজার বিনোদিনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া দেবদত্তা পাল। প্রত্যাশার চাপ যে ছিল, সেটা মেনে নিয়েই তিনি বলছেন, ‘‘আত্মতুষ্ট হয়ে পড়িনি। মাধ্যমিকের মতোই যথেষ্ট মন দিয়ে পড়াশোনা করেছি।’’

সংসার চালানোর তাগিদে বাবার সঙ্গে জমিতে চাষের কাজ করতে হয় আরামবাগের কুন্তল বীটকে। মাধ্যমিকে একাদশ স্থানে থাকা আরামবাগ বালক বিদ্যালয়ের ছাত্রটি এ বার ষষ্ঠ স্থান পেয়েছেন। স্বপ্ন দেখেন চিকিৎসক হওয়ার। মাত্র এক নম্বরের জন্য মাধ্যমিকের মেধা-তালিকায় জায়গা পাননি সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দিব্যদূত শাসমল। উচ্চ মাধ্যমিকে চতুর্থ হওয়ায় সেই আক্ষেপ মিটেছে। তাঁর কথায়, ‘‘জেদ চেপে গিয়েছিল।’’

মাধ্যমিকের থেকে তিন ধাপ উঠেছেন উত্তরপাড়া মডেল স্কুলের সৌরদীপ নাথ ও পুরুলিয়া জেলা স্কুলের ছাত্র অনুভব চক্রবর্তী। চতুর্থ স্থানে থাকা সৌরদীপ পড়াশোনার পাশাপাশি গান, টেবিল টেনিসে সময় কাটান। পঞ্চম স্থানে থাকা অনুভব ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে পুরুলিয়ায় কাজ করতে চান। মাধ্যমিকে নবম স্থানাধিকারী শ্রেয়াংস চট্টোপাধ্যায় এ বার এক ধাপ উঠে আট নম্বরে। তিনি অবশ্য ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চান না, পড়তে চান পদার্থবিদ্যা নিয়ে।

মাধ্যমিকের মতো একই স্থান ধরে রেখেছেন রেখেছেন আলিপুরদুয়ারের রিদমকুমার দাস এবং বাঁকুড়ার ওন্দার কুমারডাঙার বিশাল গঙ্গোপাধ্যায়। বিশাল বললেন, ‘‘মাধ্যমিকের সাফল্য উচ্চ মাধ্যমিকেও ধরে রাখার জন্য জেদ চেপে গিয়েছিল।’’

Higher Secondary Results 2018 Students Successful
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy