দফতর বদল হল হোমগার্ডের।
এত দিন হোমগার্ডেরা রাজ্যের অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের অধীনে ছিলেন। এ বার তাঁদের নিয়ে যাওয়া হল স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে। সম্প্রতি নবান্নের তরফে এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলের অধীনে কাজ করবেন তাঁরা।
হোমগার্ডদের স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে পাঠানোয় নানা ভাবে প্রশাসনিক সুবিধা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন এলাকায় প্রয়োজন অনুযায়ী হোমগার্ড মোতায়েন করা সহজ হবে। এত দিন অন্য দফতরের অধীনে থাকা হোমগার্ডদের মোতায়েন করতে অনুমতির প্রয়োজন হত। স্বরাষ্ট্র দফতরের ছাদের নীচে চলে যাওয়ায় এ বার পুলিশকর্তারা সরাসরি তাঁদের মোতায়েন করতে পারবেন। পুলিশের একাংশের বক্তব্য, ভোটের সময় পুলিশবাহিনীর ঘাটতি হোমগার্ড দিয়ে মেটানো
যাবে। রাজ্য পুলিশবাহিনীতে যে-ঘাটতি রয়েছে, আগামী দিনে হোমগার্ড দিয়ে তা কী ভাবে কতটা মেটানো যায়, সেই বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।
এখন রাজ্যে প্রায় ১৪ হাজার হোমগার্ড আছেন। প্রায় চার হাজার পদ খালি। হোমগার্ড বাহিনীর মাথায় রয়েছেন ডিজি মর্যাদার এক জন কম্যাডান্ট জেনারেল। হোমগার্ডেরা কাজ করেন দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের পাশাপাশি তাঁদের কাজেও প্রশাসনের শীর্ষ মহল সন্তুষ্ট। প্রশাসনের একটি অংশের অভিমত, পঞ্চায়েতে ভাল কাজের ফল স্বরূপ হোমগার্ডদের স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে পাঠানো হচ্ছে।
রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, হোমগার্ডেরা প্রথম থেকেই পুলিশের অংশ হিসেবে কাজ করেন।
তাঁদের সে-ভাবেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নিয়মিত অস্ত্র প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এত দিন তাঁদের সব কিছু দেখাশোনা করত অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতর। পঞ্চায়েত ভোটের পরে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। বেতন-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষোভ রয়েছে হোমগার্ডদের। নবান্নের একটি অংশ জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে যাওয়ায় সেই ক্ষোভেরও সুরাহা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy