পাহাড়ে গুরুঙ্গের সঙ্গে কোনও বৈঠকই করতে চান না মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানের পর এ বার চিঠি গেল স্বরাষ্ট্রসচিবের। পাহাড়ে হিংসা থামিয়ে শান্তি ফেরাতে আন্দোলনকারী দলগুলির নেতাদের ২৯ অগস্টের বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন অত্রি ভট্টাচার্য। পাহাড়ের নেতারা যাতে চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে সরকারকে লিখিত ভাবে বৈঠকে আসার কথা জানান, সেই অনুরোধও করেছেন তিনি।
তবে তাৎপর্যপূর্ণ হলো, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফে বৈঠকে আসার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে বিনয় তামাঙ্গকে। মোর্চা-প্রধান বিমল গুরুঙ্গকে নয়। এর কারণ ব্যাখ্যা করে এক সরকারি মুখপাত্র বলেন, ‘‘তামাঙ্গ গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন সমন্বয় সমিতির নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। তিনিই প্রথম চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে আসতে চেয়েছিলেন। গুরুঙ্গ যে চিঠি দিয়েছেন তাতে বৈঠকে আসার কথা বলা নেই। তাই তাঁকে ডাকা হয়নি।’’
নবান্নের খবর, পাহাড়ের জোড়া বিস্ফোরণের পরে গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে ইউএপিএ’র ধারায় মামলা হয়েছে। পাহাড়ের অশান্তির মূল অভিযুক্তের সঙ্গে কোনও বৈঠকই করতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এর আগে দু’বার আহ্বান জানানোর পরেও গুরুঙ্গ সাড়া না দিয়ে অশান্তিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন বলে নবান্নের অভিমত। সেই কারণেই জিএনএলএফ, জাপ, এবিজিএল, সিপিআরএমের সঙ্গে মোর্চার সহ সম্পাদক নেতা বিনয় তামাঙ্গকে ডাকা হয়েছে। তবে চিঠি দিতে গেলে তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরে মোর্চার একটি অফিসে চিঠি রেখে আসা হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের মার, দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ
চিঠি পেয়ে বিনয় শুক্রবার মংপুতে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডাকেন। বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’ কিন্তু মোর্চার তরফে কে বৈঠকে যোগ দেবেন তা নিয়ে কিছু অনিশ্চয়তা রয়েছে। রাজ্য বিনয়কে ডাকায় মোর্চার অন্দরে বিরোধ তীব্র হচ্ছে। গুরুঙ্গের বাহিনী এমন হুমকিও দিচ্ছে যে রাজ্যের ডাকা বৈঠকে যোগ দিলে বিনয়ের পরিণতি মদন তামাঙ্গের মতো হবে। আলোচনার দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাই ফের অশান্তির আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না নিরাপত্তা সংস্থাগুলি।
শুক্রবার ভোরেই কালিম্পঙের কাছে পেশক সেতুর সামনে বিস্ফোরণ হয়েছে। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘সর্বদল বৈঠক হচ্ছেই। এ সব করে বৈঠক ভেস্তে দেওয়া যাবে না।’’
এ দিনই কালিম্পঙে সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। পরে জানানো হয়েছে, সর্বদলের আগে সদর্থক ইঙ্গিত দিতে বন্ধ প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। রবিবার ফের বৈঠক হবে। তবে তার আগেই রাজ্যকে আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠকে যোগ দেওয়ার বিষয়টি জানাতে পারেন বিভিন্ন দলের নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy