Advertisement
E-Paper

হোর্ডিংয়ে মুকুলের শুভেচ্ছা, ধৃত দুই

তৃণমূলে মুকুল-বিচ্ছেদ পর্ব চলার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে পুরুলিয়া শহরের হাসপাতাল মোড় ও রাঘবপুর মোড়ে মুকুলের ছবি সংবলিত ওই হোর্ডিং দেখে গুঞ্জন ওঠে।

প্রশান্ত পাল

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:৩৩
বিতর্কিত: সেই হোর্ডিং। ছবি: সুজিত মাহাতো।

বিতর্কিত: সেই হোর্ডিং। ছবি: সুজিত মাহাতো।

জোড় হাতে মুকুল রায় বিজয়া, মহরম, দীপাবলি ও ছুটপুজোর শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এমন হোর্ডিং পড়েছিল পুরুলিয়া শহরে। রাতারাতি তা উধাও হয়ে গেল! গ্রেফতার হলেন হোর্ডিংয়ের তলায় নাম থাকা তিন জনের মধ্যে দু’জন।

তৃণমূলে মুকুল-বিচ্ছেদ পর্ব চলার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে পুরুলিয়া শহরের হাসপাতাল মোড় ও রাঘবপুর মোড়ে মুকুলের ছবি সংবলিত ওই হোর্ডিং দেখে গুঞ্জন ওঠে। জেলা তৃণমূলের পাশাপাশি খবর যায় রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। শুক্রবার সকালে দেখা যায়, হোর্ডিং নেই। তলায় সৌজন্য জানিয়ে যে তিনটি নাম ছিল, তাঁদের মধ্যে দু’জনকে বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ ধরে।

ধৃত পরমানন্দ মাহাতো পুরুলিয়া মফস্‌সল থানার কলবাঁধের বাসিন্দা। অন্য ধৃত মুকেশ সাউয়ের বাড়ি পুরুলিয়ার দেশবন্ধু রোডে। পুলিশের দাবি, শহরের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণার মামলার তদন্তে ওই দু’জনের নাম এসেছে। অথচ এফআইআরে নাম ছিল না। পরমানন্দের ভাই বিবেকানন্দের দাবি, ‘‘দাদা টিএমসিপি কর্মী। মুকুলদার সঙ্গে কলকাতায় বৈঠক করে ফিরে হোর্ডিং লাগানোর পরেই পুলিশ ওকে ধরল! অথচ প্রতারণার সঙ্গে দাদা যুক্তই নয়।’’

জেলার পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাসের দাবি, ‘‘তদন্তে নাম পাওয়ার পরেই ওদের ধরা হয়েছে। এর সঙ্গে অন্য বিষয় জড়িয়ে ফেলা ঠিক নয়।’’ শুক্রবার ধৃতদের চার দিনের জেল হাজত হয়। এই ঘটনায় নানা প্রশ্ন ওঠায় জেলা তৃণমূল দূরত্ব রাখার চেষ্টা করেছে। দলের পুরুলিয়া শহর কমিটির সভাপতি বৈদ্যনাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘হোর্ডিং কে লাগিয়েছে, কে খুলেছে, কিছুই জানি না।’’

Mukul Roy Hording Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy