হিন্দু ধর্মে দানের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতেও দান করা অত্যন্ত শুভ একটি কাজ। এ ক্ষেত্রে যে সর্বদা বহু মানুষকে বিশাল কিছু জিনিস দান করতে হবে এমন কোনও মানে নেই। সাধ্যমতো, কয়েক জন মানুষকে অল্প কিছু দান করলেও ভাল ফল পাওয়া সম্ভব। তবে মন দিয়ে, নিষ্ঠার সঙ্গে দান করতে হবে। মনে দ্বিধা রেখে, স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে দান করলে হবে না। এতে ভগবানের আশীর্বাদ প্রাপ্তি তো ঘটবেই না, উল্টে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
নতুন বছর ভাল করার উদ্দেশ্যে পুরনো বছরের শেষ ভাগে বা নতুন বছরের শুরুতে বহু মানুষই মন্দিরে পুজো দিতে যান। এই সময় আমরা অনেকেই দেবতার উদ্দেশে নানা জিনিস দান করে থাকি। তবে এ ক্ষেত্রে মনমতো যা কিছু দান করলেই যে ভাল ফল পাবেন তা নয়। তুচ্ছ কিছু জিনিস রয়েছে যা এই সময় মন্দিরে দান করতে পারলে নতুন বছরটা খুব ভাল ভাবে কাটানো যাবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
আরও পড়ুন:
বছরশেষে কোন জিনিসগুলি মন্দিরে দান করবেন?
ঘণ্টা: যে কোনও দেবতার মন্দিরে একটা ছোট কাঁসা বা পেতলের ঘণ্টা দান করতে পারেন। এতে জীবন থেকে সমস্ত নেগেটিভ শক্তি দূর হবে। নতুন বছরে অযাচিত ঝামেলায় সময় ব্যয় হওয়ার আশঙ্কার হ্রাস ঘটবে।
লাল পতাকা: ২০২৬-এ সমাজে নিজের অবস্থান মজবুত করতে ও সম্মান বাড়াতে মন্দিরে লাল পতাকা দান করতে পারেন। খুব ভাল ফল পাবেন।
পেতলের ঘট: মন্দিরে পেতলের ঘট দান করাও অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এর ফলে জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। নতুন বছর সুখের করে তুলতে পেতলের ঘট দান করে দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন:
দেশলাই: তুচ্ছ হলেও কার্যকরী। মন্দিরে দেশলাই দানের মাহাত্ম্য অনেক। সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায় যদি সেটিকে সকলের নজরের আড়ালে, গোপনে দান করা যায়। এর ফলে আত্মবিশ্বাস ও শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
আসন: মন্দিরে আসন দান করাও শুভ বলে মনে করা হয়। বছরের শেষ ভাগে বা শুরুতে আসন দান করতে পারলে খুব ভাল ফল পাওয়া যাবে। ভগবান আপনার উপর তুষ্ট হবেন। সফলতা লাভের পথ প্রশস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। লাল রঙের আসন দানে বেশি ভাল ফলপ্রাপ্তি হবে বলে বিশ্বাস।
আরও পড়ুন:
কর্পূর: বর্ষশেষে মন্দিরে কর্পূর দান করলে দারুণ ফলপ্রাপ্তি ঘটে। এর ফলে নতুন বছরে জীবনে সমৃদ্ধি লাভ করতে পারবেন। অর্থকষ্ট জীবন থেকে বিদায় নেবে।
তুলসীপাতা: মন্দিরে তুলসীপাতা দান করাও অত্যন্ত শুভ বলে জানাচ্ছে জ্যোতিষশাস্ত্র। এর ফলে জীবন পজ়িটিভ শক্তিতে ভরে উঠবে। ২০২৬-এ জীবনে কোনও নেতিবাচকতা থাকবে না।