বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটে ভাঙচুর এবং দুই জনপ্রিয় সংবাদপত্রের দফতরে তাণ্ডব ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পদক্ষেপ করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনার তিন দিন পর গ্রেফতার করা হল ১৭ জন অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, হামলার বিভিন্ন ভিডিয়ো খতিয়ে দেখে ওই ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনাক্ত করা হয়েছে আরও ৩১ জনকে। তাঁদেরও খোঁজ চলছে।
বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় রবিবার ৩০০ থেকে ৪০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছিল পুলিশ। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের জনসংযোগ শাখা জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ওই মামলায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া, আরও বেশ কয়েক জনকে এ পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদেরও খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন:
ধৃতদের মধ্যে প্রথমে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে সন্ত্রাস দমন ও গোয়েন্দা শাখা আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছে। সকলের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। রবিবার পুলিশ ইউনূসের দফতরকে জানিয়েছে, হামলার ভিডিয়ো ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ৩১ জন সন্দেহভাজনকে প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া, চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের কাছে বিশৃঙ্খলার ঘটনাতেও তিন জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে তরুণ নেতা তথা ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুসংবাদ দেশে পৌঁছোতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা-সহ বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শয়ে শয়ে মানুষ। ভাঙচুর করা হয় ছায়ানটে। বাংলাদেশের দুই জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ ও ‘ডেলি স্টার’-এর দফতরেও চলে তাণ্ডব। ভিতরে ঢুকে তছনছ করা হয় কাগজপত্র, কম্পিউটার। তার পর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বহুতলে। ভিতরেই আটকে পড়েন সাংবাদিকেরা। পরে দমকলকর্মীরা আগুন নিভিয়ে ক্রেনের সাহায্যে বহুতল থেকে তাঁদের উদ্ধার করেন।