চুরির প্রতিবাদ করায় চোরেদের হাতেই প্রহৃত হলেন গৃহবধূ। এমনকি যাওয়ার সময় চোরেরা ছিনিয়ে নিল তাঁর গহনাও। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আগরপাড়ার লাহাবাগান এলাকায়। আহত গৃহবধূর নাম সুপর্ণা কুন্ডু।
পুলিশ সূত্রে খবর, লাহাবাগান এলাকাতেই ব্যাগ কারখানা দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এই কারখানাটির পাঁচিলের গা ঘেঁষেই সুপর্ণাদেবীদের বাড়ি। সুপর্ণাদেবীর স্বামীর নাম সুজিত কুন্ডু। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের বাড়ির ছাদ টপকে ওই বন্ধ কারখানায় চুরি করতে ঢুকছিল কয়েকজন যুবক। সুপর্ণাদেবী এবং সুজিতবাবু তাদের দেখতে পেয়ে বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করেন। চেঁচামেচিতে তখনকার মতো রণে ভঙ্গ দিলেও গভীর রাতে বাড়ির ছাদ বেয়ে বন্ধ কারখানায় ঢোকা বন্ধ হয়নি। উল্টে তারা হুমকি দিয়ে গিয়েছিল।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, শনিবার রাতে সুপর্ণাদেবীর ঘুম ভেঙে যায়। তিনি শৌচাগারে যাওয়ার সময় ছাদের ওপর কয়েকজন যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। চোর চোর বলে চিৎকার করে উঠতেই তারা সুপর্ণাদেবীর ওপর চড়াও হয়। তাঁর মাথায় এবং হাতে ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গলার সোনার চেন এবং হাতের বালা ছিনিয়ে নেয়। এই মর্মে খড়দহ থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই দম্পতি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ আছেন সুপর্ণাদেবী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ কারখানাটি চোরেদের নজরে। ওখানে পড়ে থাকা ভাঙা লোহা-লক্কড় চুরি করার জন্য প্রায়ই কিছু নেশাখোর যুবক ওখানে ঢোকে। মূলত পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকলেও ওই কারখানা লাগোয়া বাড়িগুলির ছাদ এবং কার্নিসও ব্যবহার করত ওই যুবকেরা। বাড়িগুলির বাসিন্দারা এবং এলাকাবাসীরা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করলে তারা পালিয়ে যেত কিন্তু পরে আবার ফিরে আসত। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান অজয় ঠাকুর জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে ওই যুবকদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি জানান, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy