মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলায় চার্জশিট জমা পড়ার পর থেকে জিটিএ দফতরে আসছেন না বিমল গুরুঙ্গ-সহ অভিযুক্ত সদস্যরা। লালকুঠিতে জিিটএ চিফ গুরুঙ্গের ঘরও বন্ধ। ছবি: রবিন রাই।
মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত বিমল গুরুঙ্গ ও তাঁর সহযোগীরা কী করে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর (জিটিএ) প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন, রাজ্যপালের কাছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল পাহাড়ের নবগঠিত ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট। পাহাড়ে মোর্চার বিরোধী ৫টি দলের এই ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা বুধবার সকালে দার্জিলিঙের রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপাল তাঁদের স্মারকলিপি নিলেও কোনও মন্তব্য করেননি বলে ফ্রন্ট সূত্রে খবর।
মোর্চার দাবি, ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা রাজ্যপালের কাছে একেবারেই অযৌক্তিক দাবি করেছেন। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিনয় তামাঙ্গ জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে। কিন্তু তাঁরা অভিযুক্ত হলেও দোষী সাব্যস্ত হননি। তিনি বলেন, ‘‘তা হলে জিটিএ চালাতে অসুবিধে কোথায়, সেটাই তো মাথায় ঢুকছে না।’’
কিন্তু ঘটনাচক্রে, সিবিআই তামাঙ্গ-হত্যা মামলায় গত ২৯ মে চার্জশিট দেওয়ার পর থেকে জিটিএ প্রধান গুরুঙ্গ লালকুঠি বা ভানু ভবনের দফতরে যাননি। জিটিএ-র অন্য যে সদস্যেরা তামাঙ্গ হত্যায় অভিযুক্ত, তাঁদেরও দফতরে দেখা যায়নি। সচিবরাই কাজকর্ম চালাচ্ছেন। তা নিয়ে মোর্চার অন্দরে ও বাইরে নানা প্রশ্ন উঠছে। এ দিন সেই প্রশ্ন জনসমক্ষে এনেছেন ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা। তবে জিটিএ-এর তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিনয়বাবুর বক্তব্য, তাঁদের দলের একটি ধারাবাহিক পুজোপাঠের সূচি অনেক আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তা চলবে ৫ জুন পর্যন্ত। তিনি বলেন, ‘‘তারপরে জিটিএ দফতরে সদস্যদের যাতায়াত স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’’
তামাঙ্গ হত্যা মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মোর্চাকে পাহাড়ে কোনও সভা সমাবেশ করার অনুমতি না দিতেও এ দিন রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছেন ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা। তাঁদের আশঙ্কা, মোর্চা এখন প্রকাশ্য সভা করে কোনও হুঁশিয়ারি দিলে পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এই প্রসঙ্গে বিনয়বাবুর বক্তব্য, ‘‘আমরা কাউকে ভয় দেখিয়েছি বলে কোনও অভিযোগ নেই। আমরা প্রশাসনের অনুরোধ মেনে মিটিং পর্যন্ত করলাম না। তবুও এ সব কথা রটানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy