প্রতীকী ছবি।
ভয় গৃহশিক্ষকদেরও। সব থেকে বেশি ভয় লুকিয়ে রয়েছে স্কুল বা কলেজের পাশের অন্ধকার সরু গলিতেই!
প্রকাশ্য জায়গায় কতটা নিরাপদ মেয়েরা? কিশোরীরা বাসে বা রাস্তায় নিজেদের কতখানি সুরক্ষিত মনে করে? দেশ জুড়ে এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বিভিন্ন রাজ্যে সমীক্ষা চালিয়ে বুধবার একটি রিপোর্ট পেশ করে তারা। তাতে দেখা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মেয়েরা, বিশেষত কিশোরীরা বাসে, ট্রামে অসুরক্ষিত বোধ করে। তবে এ রাজ্যে ভয় সরু গলিতেই!
সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী এ রাজ্যের ৪১ শতাংশ মেয়ে সরু গলিতে যৌন হেনস্থার শিকার হওয়ার আশঙ্কা ভোগেন। স্কুলের কাছে সরু গলিতে শারীরিক ভাবে নির্যাতিত হওয়ার আশঙ্কা কাজ করে স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের মধ্যে। এর পরেই যৌন হেনস্থার ভয়ের তালিকায় রয়েছেন গৃহশিক্ষক। ২২ শতাংশ স্কুলছাত্রী গৃহশিক্ষকের কাছে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় ভোগে। গলিতে পর্যাপ্ত আলো না-থাকার জেরে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় ভোগে বয়ঃসন্ধি কালের ৫৮ শতাংশ মেয়ে। ৩৮ শতাংশ মেয়ে মনে করেন, যে-সব রাস্তায় দোকান কম, সেখানে তাঁরা নির্যাতনের মুখে পড়তে পারেন।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী, রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য মারিয়া ফার্নান্ডেজ। তাঁরা জানান, শিক্ষার প্রসার বদলে দিতে পারে ভয়ের ছবি।
মেয়েদের পড়াশোনা ও স্বনির্ভরতার সুযোগ বা়ড়াতে হবে। স্কুল স্তর থেকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে ছেলেদের শিক্ষার উপরেও। মহিলাদের সমানাধিকার সম্পর্কে ছেলেদের
মধ্যে ঠিকমতো ধারণা তৈরি
হলে তবেই ‘গলি-ভয়’ ভাঙার কাজটা সহজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy