E-Paper

জলে ১৫ হাজার হেক্টরেরও বেশি কৃষিজমির ক্ষতি

হুগলি জুড়ে ৪৩০ হেক্টর জমির আনাজ চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যানপালন দফতরের জেলা আধিকারিক শুভদীপ নাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৫ ০৬:৫৬
বৃষ্টির জেরে। ধান খেতে জলমগ্ন। ক্ষতির আশঙ্কা চাষিদের। গোঘাটের কামারপুকুর পঞ্চায়েতের আদ্যাপীঠে।

বৃষ্টির জেরে। ধান খেতে জলমগ্ন। ক্ষতির আশঙ্কা চাষিদের। গোঘাটের কামারপুকুর পঞ্চায়েতের আদ্যাপীঠে। নিজস্ব চিত্র।

ধীরে হলেও জল নামতে শুরু করেছে আরামবাগ মহকুমা-সহ হুগলি জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে। অতিবৃষ্টি এবং ডিভিসি-র ছাড়া জলে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠঘাট ভেসেছিল। চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই ঘুম উবেছে চাষিদের। ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব পর্যালোচনা করে জেলার এক কৃষিকর্তা জানিয়েছেন, কৃষিক্ষেত্রে গত ১ অগস্ট পর্যন্ত ১৫ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্তবলে চিহ্নিত হয়েছে। এর পরিমাণ বাড়তে পারে।

আমন চাষে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব বুধবার পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে, হুগলি জুড়ে ৪৩০ হেক্টর জমির আনাজ চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যানপালন দফতরের জেলা আধিকারিক শুভদীপ নাথ।

কৃষি ছাড়াও রাস্তা এবং বিদ্যুৎ পরিষেবার ক্ষেত্রে বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি চিহ্নিত হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশসানের এক কর্তা বলেন, “কৃষির ক্ষয়ক্ষতির হিসাব চলছে। রাস্তা এবং বিদ্যুতের ক্ষেত্রে জোরকদমে পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।”

জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ মহকুমার ছ’টি ব্লকের মোট ৬৩টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫১টিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ বাদে জাঙ্গিপাড়ার সাতটি পঞ্চায়েত, চণ্ডীতলা ১ ও ২ মিলিয়ে ১৫টি পঞ্চায়েত, ধনেখালির ১৮টি, হরিপালের পাঁচটি এবং শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েত ও পুর এলাকার একাংশে ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মৌজার সংখ্যা ৪৭৭টি।

বন্যাপ্রবণ আরামবাগ মহকুমাতেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। এখানে ছ’টি ব্লকের ১০ হাজার ৪০৫ হেক্টর জমির ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আনাজ চাষের এলাকা ২৪০ হেক্টর।

রাস্তার ক্ষেত্রেও আরামবাগ মহকুমাতেই রাজ্য সড়ক এবং পূর্ত দফতরের শাখা রাস্তাগুলিতেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।সব রাস্তায় গড়ে ৬০-৭০টি করে জায়গা ভেঙে গিয়েছে। জেলা পূর্ত দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, “প্রায় ১০০ মিটার থেকে ৩০০মিটার পর্যন্ত ভাঙা ও গর্ত হয়েযাওয়া অংশ আপাতত আস্থয়ী ভাবে সংস্কার হচ্ছে। বর্ষার পর আমূল সংস্কার হবে।”

বিদ্যুতের ক্ষেত্রে জুন মাস থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত শুধু বজ্রপাতেই মোট ১১৯টি ট্রান্সফর্মার পুড়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আরামবাগের বিভাগীয় ম্যানেজার অনিরুদ্ধ মণ্ডল।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Howrah

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy