Advertisement
১৫ মে ২০২৪
Shamanism Killed Child

কিশোরকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে ওঝার কাছে, মৃত্যু

হাসপাতাল সূত্রের খবর, অন্য হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে বাড়ির লোকজন ওই দিনই ছেলেটিকে হুগলির রাজবলহাটে এক ওঝার কাছে নিয়ে যান।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উদয়নারায়ণপুর শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৩১
Share: Save:

পেটের অসুখে আক্রান্ত এক কিশোরকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে এনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওঝার কাছে। তাতে কিশোরটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ায় ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিসকেরা মৃত বলে জানিয়ে দেন। উদয়নারায়ণপুরের শিবানীপুরের এই ঘটনায় ফের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

মৃতের নাম রীতেশ অধিকারী (১২)। অনেকেই মনে করছেন, কুসংস্কারের বলি হল কিশোরটি। কিশোরটির বাবা চণ্ডীচরণ অধিকারী ভিন রাজ্যে সোনার কাজ করেন। গত ২৬ এপ্রিল ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বাড়ি ফেরেন। তিনি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।

ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ও মৃতের পরিবার সূত্রের খবর, পেটের অসুখে আক্রান্ত হওয়ায় পরিবারের লোকজন রীতেশকে গত ২৫ এপ্রিল উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। পরদিন সকালে পরিবারের লোকেরা তাকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করাবেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান। হাসপাতাল থেকে বন্ডে সই করিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই হাসপাতাল সূত্রের খবর, অন্য হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে বাড়ির লোকজন ওই দিনই ছেলেটিকে হুগলির রাজবলহাটে এক ওঝার কাছে নিয়ে যান। সেখানে ঝাড়ফুঁক করিয়ে দুপুরে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। বিকেলে ছেলেটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাড়ির লোকজন ফের উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, কিশোরটিকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।

উদয়নারায়ণপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি তথা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য লক্ষ্মীকান্ত দাস বলেন, ‘‘আমি যতদূর জেনেছি, কিশোরটির পরিবারের ধারণা হয়েছিল, তাকে অপদেবতা ভর করেছে। তাই ওঝার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। কুসংস্কারের বলি হল কিশোরটি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

udaynarayanpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE