সপ্তাহখানেক আগে বেলুড়ে নিজের বাড়িতেই ঘুমের মধ্যে অ্যাসিড হামলায় জখম হয়েছিলেন বছর পঁচিশের এক তরুণী। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ওই তরুণীর বোনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম আফরিন খাতুন। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় আফরিন জানিয়েছেন, পারিবারিক হিংসাবশত তিনি দিদিকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন। সেই কারণে ওই রাতে তাঁর গায়ে অ্যাসিড ছোড়েন। তবে, এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আফরিনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ দিন ধৃত তরুণীকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, অ্যাসিড হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২১ অগস্ট। ওই দিন আক্রান্ত তরুণীর পরিবারের লোকজন বেলুড় থানায় অভিযোগে জানান, ২০ তারিখ রাত ১টা নাগাদ অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা ঘরের ঘুলঘুলি দিয়ে বোতলে করে অ্যাসিড ছুড়ে মারায় পরিবারের মেজো মেয়ে মারাত্মক ভাবে দগ্ধ হয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে। ঘটনাস্থলে তদন্তে আসে ফরেন্সিক দল। তদন্তকারীরা কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অ্যাসিড আক্রান্ত তরুণীর সঙ্গেও কথা বলেন। আহতের পরিবারের তরফে পুলিশকে
জানানো হয়েছিল, তাদের সন্দেহ, এলাকার কোনও লোকই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
কিন্তু ফরেন্সিক রিপোর্ট পাওয়ার পরে পুলিশ নিশ্চিত হয়, ঘরের ভিতর থেকেই অ্যাসিড ছোড়া হয়েছিল তরুণীর উপরে। এর পরেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে শেষ পর্যন্ত আফরিন স্বীকার করেন, তিনিই তাঁর দিদির উপরে অ্যাসিড ঢেলেছেন। কারণ, দিদির সঙ্গে তাঁর মতের মিল হত না। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে রেষারেষিও চলছিল। পুলিশ জানায়, স্থানীয় একটি অ্যালুমিনিয়ামের কারখানা থেকে অ্যাসিড জোগাড় করেছিলেন আফরিন। তার পরে ওই ঘটনা ঘটান।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)