স্কুলের পড়ানো সময় বাদ দিলে অর্কিডের পরিচর্যা করেই সারা দিন কাটে আলিম স্যারের। —নিজস্ব চিত্র।
শীত হোক বা বর্ষা, আলিম স্যারের বাড়িতে সারা বছরই বসন্ত! হবে না-ই বা কেন? বাড়ির উঠোন, ছাদ ভরা হরেক কিসিমের অর্কিডে। কিছু অর্কিড মরসুমি। কয়েকটায় বা আবার বছরভর ফুল ফোটে। অর্কিডের এমনই নেশা যে নিজের বাড়িতেই আস্ত একটা ‘গ্রিনহাউস’ গড়ে তুলেছেন তিনি।
হুগলি জেলার পোলবার বাসিন্দা আলিম মণ্ডলের নেশা অর্কিড চাষ করা। পেশায় তিনি ইয়াসিন মণ্ডল হাইস্কুলের জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক। তবে ছাত্র পড়াতে পড়াতে অর্কিডের শখ চেপেছিল আলিম স্যারের। সেই শখই এখন তাঁর নেশা। আলিম জানিয়েছেন, পরিচিত এক জনের থেকে প্রথম অর্কিড এনেছিলেন। এর পর থেকে অনলাইনে কেরল, তাইল্যান্ড থেকে পছন্দের অর্কিড কেনেন। তাঁর বালিটানা গ্রামের বাড়িতে আস্ত একটা গ্রিনহাউসও তৈরি করে ফেলেছেন। মাত্র তিন বছরেই কয়েক হাজার অর্কিড রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। ভেন্ডা, ক্যাটালিয়া, অনসিডিয়াম, ফ্যালানোসিস, রিকোটাইলস, এ্যারিডিস, এ্যাসকোভেনট্রিয়ামের মতো হরেক রকমের অর্কিডে ভরে উঠেছে তাঁর গ্রিনহাউসে।
লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, কমলা— প্রায় সব রঙের খেলাই চলে আলিমের গোটা গ্রিনহাউস জুড়ে। স্কুলের সময় বাদ দিলে অর্কিডের পরিচর্যা করেই সারা দিন কাটে তাঁর। কোনও বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়, শুধুমাত্র নিজের খেয়ালেই কয়েক লাখ টাকার অর্কিড চাষ করেছেন আলিম। নেটমাধ্যমে বিভিন্ন অর্কিড গ্রুপের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন তিনি।
আলিম স্যারের অর্কিডের বাগান দেখতে ভিড়ও কম হয় না। কলকাতা, আসানসোলের মতো দূরদুরান্তের শহর থেকেও তাঁর বাগান দেখতে আসেন অনেকে। ‘‘অর্কিড বাগান যখন ফুলে ফুলে ভরে ওঠে, তখন আনন্দের সীমা থাকে না। আর সেটাই বড় প্রাপ্তি।’’— বলেন অর্কিডপ্রেমী আলিম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy