সাঁকরাইলের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সুইমিং পুলের জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে হিমাচল প্রদেশ থেকে আসা পড়ুয়ার। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে মঙ্গলবার এমনই দাবি করল পুলিশ। তদন্তকারীদের আরও দাবি, ওই ছাত্রের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তবে, সুইমিং পুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি সেখানে নেমেছিলেন, তা জানার জন্য কলেজের অন্য পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত শনিবার সাঁকরাইলের ওই বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সুইমিং পুল থেকে উদ্ধার হয় কপিল কুমার (২২) নামে এক ছাত্রের দেহ। এটি দুর্ঘটনা বলে প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, সুইমিং পুলে নামার পরে কোনও ভাবে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। যদিও সোমবার হাওড়ায় এসে কপিলের পরিজনেরা কলেজ কর্তৃপক্ষের এই দাবি মানতে চাননি। তাঁরা ঘটনাটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করায় পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
মঙ্গলবার হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে জানানো হয়, ওই ছাত্রকে খুন করা হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ তাদের হাতে আসেনি। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের পাশাপাশি কলেজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানেও কপিলকে খুন করার মতো কোনও ঘটনা চোখে পড়েনি বলেই দাবি পুলিশের।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘ছাত্রটির পরিবার যে ধরনের অভিযোগ করেছে, এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তেতার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে, কলেজের বাকি পড়ুয়া এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)