E-Paper

দাদপুরে টায়ার ব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার ট্রাকচালক

আদতে বিহারের মজফ্ফররপুরের বাসিন্দা ছোটু। ব্যবসার সুবাদে তিনি মহেশ্বরপুরেই থাকতেন। তাঁর বাড়ি দোকান লাগোয়া। টায়ারের ব্যবসার পাশাপাশি চারটি ট্রাকও রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩৩
পুলিশের জালে অভিযুক্ত।

পুলিশের জালে অভিযুক্ত। নিজস্ব চিত্র।

গত রবিবার দাদপুর থানার মহেশ্বরপুরে একটি টায়ারের দোকান থেকে মালিক মহম্মদ নবি আলম আনসারি ওরফে ছোটুর (৩৯) মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তদন্তে নেমে শুক্রবার পাশের গ্রামের শেখ সিকান্দর নামে এক ট্রাকচালককে হাওড়ার শালিমারের রেল ইয়ার্ড থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত অপরাধ কবুল করেছে। ওই ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল।

তদন্তকারীরা জানান, সিকান্দরের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছোটুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সিকান্দরের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও ওই সম্পর্ক তিনি মানতে পারেননি। ছোটুর সঙ্গে তাঁর শত্রুতা বাড়তে থাকে। তার জেরেই ওই ঘটনা।

আদতে বিহারের মজফ্ফররপুরের বাসিন্দা ছোটু। ব্যবসার সুবাদে তিনি মহেশ্বরপুরেই থাকতেন। তাঁর বাড়ি দোকান লাগোয়া। টায়ারের ব্যবসার পাশাপাশি চারটি ট্রাকও রয়েছে। সিকান্দরের বাড়ি পাশের পুইনান গ্রামের বাঙালপাড়ায়। কয়েক বছর আগে দু’জনের পরিচয় হয়। তারপরে পরস্পরের বাড়ি যাওয়া শুরু হয়েছিল। সিকান্দরের স্ত্রীর সাথে ছোটুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়েই স্ত্রীর সঙ্গে সিকান্দরের অশান্তি শুরু হয়। পরে বিবাহ-বিচ্ছেদ। সিকান্দর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তবে, ছোটুর সঙ্গে সিকান্দরের প্রথম স্ত্রীর সম্পর্ক অটুট ছিল। যার জেরে ছোটু ও সিকান্দরের শত্রুতা বাড়তে থাকে।

জেরায় সিকান্দর পুলিশের কাছে দাবি করেছে, ছোটুই তাকে মারার ফন্দি এঁটেছিল। গত ১০ ফেব্রুয়ারি চুঁচুড়ার খদিনা মোড়ে নিজের ট্রাক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ছোটু। তিনি সিকান্দরকে মদ খাওয়ার জন্য ফোন করেন। দু’জনে মদ খেয়ে রাতে মহেশ্বরপুরে টায়ারের দোকানে ফেরে। রাতেই সে শ্বাসরোধ করে ছোটুকে খুন করে। এরপর ছোটুর মোবাইল ও গাড়ি নিয়ে সে চম্পট দেয়।

সাংবাদিক বৈঠক করে ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) প্রিয়ব্রত বক্সী জানান, হরিপালের অলিপুর থেকে ছোটুর গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। তবে, মোবাইলটি উদ্ধার হয়নি। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফোন উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই অভিযানে আরপিএফ সাহায্য করেছে।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি, রবিবার সকালে ছোটুর দোকানের ম্যানেজার শেখ জামাল এসে দেখেন, দোকানের শাটার খোলা। ভিতরে মালিক মেঝেতে পড়ে। ডাকাডাকিতেও সাড়া না দেওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন। ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি চিরকুটে থাকা তিনটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে সিকান্দরের কথা জানতে পারে পুলিশ। ঘটনাস্থলে একটি ভাঙা চেয়ার ছিল। দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতের ৬ দিন পুলিশ হেফাজত হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Dadpur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy