Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Kuntal Ghosh

‘ছেলের চাকরির জন্য বিড়ি বেঁধে জমানো টাকা দিয়েছি!’ কুন্তলের বিরুদ্ধে অভিযোগ মহিলার

হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ এখন ইডির হেফাজতে। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুললেন বলাগড়ের এক মহিলা।

কুন্তল ঘোষ।

কুন্তল ঘোষ। — ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বলাগড় শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:২৭
Share: Save:

নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ এখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হেফাজতে। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুললেন বলাগড়েরই এক মহিলা। জিরাটের বাসিন্দা রূপা দাসরায়ের অভিযোগ, তাঁর ছেলের চাকরি দেওয়ার নাম করে বছর তিনেক আগে ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। ছেলের চাকরি হওয়া তো দূর অস্ত, ৩ লক্ষ টাকার এক পয়সাও ফেরত পাননি তিনি— এমনটাই দাবি রূপার।

জিরাট বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা রূপার দাবি, কুন্তল আশ্বাস দিয়েছিলেন ২০ দিনের মধ্যে খাদ্য দফতরে তাঁর ছেলের চাকরি করে দেওয়ার। তৃণমূলের ওই যুবনেতার দিদি কুন্তলা তাঁর প্রতিবেশী বলে জানিয়েছেন রূপা। তাঁর দাবি, কুন্তলার মাধ্যমেই কুন্তলের সঙ্গে গড়ে ওঠে যোগাযোগ। তাঁর অভিযোগ, কুন্তলাও তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর ভাইয়ের সরকারি চাকরি করে দেওয়ার ‘ক্ষমতা’ রয়েছে। রূপার বক্তব্য, তাঁদের উপর ‘বিশ্বাস’ করেই ২০২০ সালে কুন্তলের হাতে ৩ লক্ষ টাকা তুলে দেন তিনি। বলাগড়ের শ্রীপুরে কুন্তলের বাড়ি। সেখানে গিয়ে তাঁর হাতে নগদ ৩ লক্ষ টাকা তিনি তুলে দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন রূপা। সেই সময়ের কথা তুলে ধরে রূপা বলেন, ‘‘ও এমন করে বলল যে, ২০ দিনের মধ্যে আমার ছেলের চাকরি হয়ে যাবে। আমি টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেব বলেছিলাম। ও বলেছিল, ‘‘ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা নেওয়া যাবে না। টাকা হাতে হাতে দিতে হবে।’’ তখন ওকে নগদ টাকা দিয়েছিলাম।’’

কুন্তলের এ হেন ‘আচরণ’ অবশ্য প্রাথমিক ভাবে সন্দেহের বীজ বোনেনি রূপার মনে। তিনি বলেন, ‘‘ওকে প্রথমে আমাদের সন্দেহ হয়নি। কারণ ওদের বাড়ি গেলে বেল বা ডালিমের শরবত খাওয়াত।’’

রূপার কথায়, ‘‘বিড়ি বেঁধে, পেন ফ্যাক্টরিতে কাজ করে কিছু টাকা জমিয়েছিলাম আমি। কুন্তলের কথা শুনে আমি মায়ের থেকেও কিছুটা টাকা নিয়েছিলাম।’’ ২০ দিন কেটে যাওয়ার পরেও ছেলের চাকরি না হওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয় রূপার পরিবারে। তাঁর দাবি, বিষয়টি নিয়ে তিনি কুন্তলকে ফোনও করেছিলেন বহু বার। কিন্তু কুন্তল তাঁর ফোন ধরেননি বলে অভিযোগ রূপার। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওর বাড়িতে গেলে দারোয়ানকে দিয়ে আমাদের তাড়িয়ে দিত। দারোয়ান বলত, ‘‘দাদা নেই।’’ সেই সময় ও কিন্তু ঘরে বসে থাকত এবং সিসি ক্যামেরায় সব লক্ষ্য করত।’’

রূপা জানাচ্ছেন, পায়ে চোট পেয়ে লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছে তাঁর মেয়ের। অস্ত্রোপচার করতে প্রয়োজন ২ লক্ষ টাকা। কুন্তলকে দেওয়া টাকা ফেরত পেলে মেয়ের অস্ত্রোপচার করাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kuntal Ghosh TMC Balagarh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE