দিন চারেক আগে ডিভিসি-র খাল সংস্কারের সরকারি কাজে গাছ কাটা নিয়ে তারকেশ্বরের ব্লক প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো হয়েছিল চন্দননগর পরিবেশ অ্যাকাডেমির তরফে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। রবিবার ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। এ বারের ঘটনাস্থল বালিগোড়ি পঞ্চায়েতের মির্জাপুর।
তারকেশ্বরের বালিগোড়ি পঞ্চায়েত এলাকায় মোট সাড়ে তিন কিলোমিটার জুড়ে খাল সংস্কার চলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রবিবার মির্জাপুর এলাকায় খালের লাগোয়া জমি থেকে গাছ কাটা হয়েছে। গাছ ইঞ্জিন ভ্যানে তোলার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তা আটকায়। পঞ্চায়েতের প্রধান হারু মজুমদারের দাবি, ‘‘এ দিন গাছ কাটার খবর পেয়েই পুলিশকে জানিয়েছিলাম। ইঞ্জিন ভ্যান এবং কাটা ডাল আটক করা আছে।’’
হুগলির (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। কেন বারবার এমন ঘটছে, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।’’ চন্দননগরেরর মহকুমাশাসক অয়ন দত্তগুপ্তও বলেন, ‘‘আমি ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেব্যবস্থা নেব। ’’
গত শুক্রবারও খালের পাশের কয়েকটি আকাশমণি এবং শিশু গাছ কাটা নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সে দিন প্রধানের সাফাই ছিল, গাছ কাটা হয়নি। কয়েকটা ডাল কাটা হয়েছে। সেচ দফতরেরও দাবি ছিল, গাছের ডাল ঝুলে পড়ায় মেশিন চালাতে অসুবিধা হচ্ছিল। সে কারণে কয়েকটি ডাল কাটা হয়েছে। এ দিন অবশ্য সেচ দফতর কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি নিয়ে অ্যাকাডেমির পক্ষে শুভ্রকান্তি সামন্ত বলেন, ‘‘গাছ কাটলে ফের লাগানোটাই বিধি। তাছাড়া এখন গাছ তো স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। যে ঠিকাদার কাজ করছেন, সেটা তাঁর চুক্তির মধ্যে থাকা জরুরি। বিষয়টি বন দফতরের দেখা উচিত।’’