রাজ্য জুড়ে চলছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন কর্মসূচি। আর তার জেরেই বহু সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন শিবপুরের রামমোহন মুখার্জী লেনের বাসিন্দা ৬৮ বছরের বৃদ্ধা শ্যামলী দেবী বন্দোপাধ্যায়। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম থাকা সত্ত্বেও, বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের তালিকা অনুযায়ী তিনি মৃত। আর তাতেই উদ্বেগে রয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০০২ সালের তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। এর পর রাজ্যের প্রত্যেকটি নির্বাচনে ভোটদান করেছিলেন তিনি। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা তালিকায় তাঁকে মৃত বলে দেখানো হয়েছে। আর তাতেই আতান্তরে পরেছেন শ্যামলী দেবী। স্বামী গৌড়পদ বন্দ্যোপাধ্যায় মারা গিয়েছেন সাত বছর আগে। একমাত্র মেয়েও মারা গিয়েছেন বেশ কয়েক বছর হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি।
হাওড়া পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর অরুণ রায়চৌধুরী বিরোধীদের নিশানা করে জানান, জীবিত মানুষকে যেভাবে ভোটার তালিকায় মৃত বলে দেখানো হচ্ছে তাতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। চরম অব্যবস্থাপনার ও অভিযোগ করেছেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, নতুন তালিকায় যদি কোনও ভোটারদের নাম না থাকে তাহলে তাকে নতুন করে আবার ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করতে হবে। কিন্তু ২০০২ সালেও ভোটদান করেছিলেন তিনি। তাই এখন এই নতুন সমস্যার সামাধান কী ভাবে হবে, তা নিয়ে উদ্বেগে বৃদ্ধা।