E-Paper

সিপিএমের সভায় হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

সিপিএম নেতা সমীর মজুমদার এবং মহুয়া দে নামে এক কর্মী আহত হন। দলের যুবকর্মী অর্ণব বসু এবং পুতুল দাস নামে অন্য এক মহিলা কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৩১
Allegation of attack on CPM\'s rally against TMC.

এলাকায় তখনও উত্তেজনা। মঙ্গলবার বালিমোড় এলাকায়। নিজস্ব চিত্র।

সিপিএমের সভায় গোলমাল বাধানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুগলির জেলা সদর চুঁচুড়ার চকবাজারে ওই সভা শুরুর মুখে সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের লোকজনের হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতে জড়ায় পুলিশও।

সিপিএম নেতা সমীর মজুমদার এবং মহুয়া দে নামে এক কর্মী আহত হন। দলের যুবকর্মী অর্ণব বসু এবং পুতুল দাস নামে অন্য এক মহিলা কর্মীকে আটক করে পুলিশ। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের সমালোচনার পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সিপিএম নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ মানেননি। পুলিশের ব্যাখ্যা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা ভেবে উপযুক্ত পদক্ষেপই করা হয়েছে।

নিয়োগ দুর্নীতি-সহ নানা বিষয় নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে সিপিএমের হুগলি এরিয়া কমিটির ১৩ নম্বর শাখার ডাকে এ দিন পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রশাসন সূত্রের খবর, সভার জন্য পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। মাইক লাগানো হয়। রাস্তার পাশে চেয়ার পাতা হয়। কিন্তু সভা শুরুর আগেই ধুন্ধুমার বাধে। বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন চুঁচুড়া থানার আইসি অনুপম চক্রবর্তী।

হুগলি-চুঁচুড়ার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সমীরের অভিযোগ, ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভা করতে দিল না তৃণমূল। আমাদের উপরে অতর্কিতে হামলা করে ওদের লোকেরা। আমাদের প্রায় ৮ জন আহত হয়েছেন। অথচ পুলিশ এসে আমাদেরই দোষারোপ করে সভা বন্ধ করে দেয়। আমাদের দু’জনকে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায়।’’ হামলার অভিযোগ উড়িয়ে শহর তৃণমূল সভাপতি সঞ্জীব মিত্রের বক্তব্য, ‘‘কিছু লোক ওদের কিছুক্ষণের জন্য মাইক বাজাতে নিষেধ করেছিল। সে কথা না শোনায় দু’পক্ষের বচসা হয়। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’’ এই অভিযোগ অবশ্য মানেনি সিপিএম।

পুলিশের বক্তব্য, গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। বিশৃঙ্খলার মধ্যে আইসি-সহ অন্য পুলিশকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি করা হয়। যাঁরা ধাক্কাধাক্কি করেন, তাঁদের মধ্যে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। সভা ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশ মানেনি। এক পুলিশ আধিকারিকের যুক্তি, পুলিশ সভা বন্ধ করতে বলেনি। অশান্তি যাতে না বাড়ে, সে জন্য দু’পক্ষকে সরে যেতে বলা হয়। তবে সভার অনুমতি যে ছিল, ওই পুলিশকর্তা অস্বীকার করেননি। রাত পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CPM TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy