Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
TMC

ঠিকাদারকে তুলে এনে হুমকি, অভিযুক্ত বিধায়ক ঘনিষ্ঠ

ঠিকাদারদের একাংশ মনে করছেন, কাজের বখরা নিতেই অফিস কব্জা করার চেষ্টা চলছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

গৌতম বন্দ্যেপাধ্যায় 
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২১ ০৬:৩৫
Share: Save:

করোনা আবহে এমনিতেই অর্থসঙ্কটে ভুগছেন ঠিকাদাররা। তার উপরে চুঁচুড়ায় তাঁদের দু’টি অরাজনৈতিক সংগঠনের অফিস কব্জা করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল বিধায়ক অসিত মজুমদারের ঘনিষ্ঠ লোকজনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে এক ঠিকাদারকে তুলে নিয়ে গিয়ে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বিধায়ক এ জাতীয় ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ মানেননি।

ওই অফিস দু’টিতে কয়েকদিন আগে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। থানায় অভিযোগ হয়েছে। শাসক দলকেও জানানো হয়েছে। গত ৭ জুন দেবীপ্রসাদ দে নামে এক ঠিকাদারকে একটি ক্লাবে তুলে নিয়ে গিয়ে শাসানো হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় নাম জড়ায় বিধায়ক ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিজয় কাহার নামে এক ব্যক্তির। থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন দেবীপ্রসাদ। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ জানান, মামলা শুরু হয়েছে।

ঠিকাদারদের একাংশ মনে করছেন, কাজের বখরা নিতেই অফিস কব্জা করার চেষ্টা চলছে। জোরের কাছে মাথা নত না করাতেই এই অত্যাচার। তাঁদের দাবি, ক্লাবে দেবীপ্রসাদকে তুলে নিয়ে গিয়ে কোমরে আগ্নেয়াস্ত্র গুঁজে অস্ত্র আইনে তাঁকে পুলিশে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। দেবীপ্রসাদ বলেন, ‘‘আগে ফোনে, তারপরে আমাকে ক্লাবে তুলে নিয়ে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়। ভয় পেয়ে যাই। কোনওমতে পালিয়ে আসি।’’

বিজয় পুরনো বাড়ি ভাঙার ব্যবসা করেন। আগে তাঁকে এ শহরেরই বাসিন্দা, সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্তের সঙ্গে দেখা যেত বলে তৃণমূলেরই একাংশের দাবি। বছর আড়াই আগে বড়বাজার এলাকায় একটি গুলি চালানোর ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল। ইদানীং বিজয়ের সঙ্গে অসিতবাবুর যোগাযোগ বেড়েছে বলে ঠিকাদারদের দাবি। বিজয় এবং অসিতবাবুকে মাঝেমধ্যেই শহরের একটি ক্লাবে দেখা যায়। একসঙ্গে দু’জনের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে।

অসিতবাবুর দাবি, ‘‘ফেসবুকে কে কী ছবি দিলেন, তাতে কিছু এসে যায় না। বিজয়ের সঙ্গে পরিচয় নেই। ওরা তপন দাশগুপ্তের ঘনিষ্ঠ সবাই জানেন। আর কোনও ক্লাবে আমি যাব না কেন?’’ বিজয় বলেন, ‘‘পুলিশ ডাকলে যাব। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। বিধায়ক আমাদের ক্লাবে অনুষ্ঠান থাকলে আসেন। আসলে আমি আগে যাঁদের সঙ্গে মিশতাম, তাঁদের সঙ্গে আর নেই। তাই এ সব কথাবার্তা উঠছে।’’

কী বলছেন সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপনবাবু? বিজয়কে নিয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। শুধু বলেন, ‘‘কুৎসার কোনও জবাব হয় না। তবে, চুঁচুড়ায় তোলাবাজি সহ্য করব না। পুলিশ কমিশনারকে বলেছি। থানায় ফোন করেছি। প্রয়োজনে দলকে পরিস্থিতি জানাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE