এই বাড়িতেই মেলে পরেশচন্দ্র দাস (ইনসেটে)-এর দেহ। —নিজস্ব চিত্র।
ঘরের দরজা খোলা হাট করে। আলমারি ভাঙা। মেঝেয় পড়ে বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহ। মঙ্গলবার সকালে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী হলেন হুগলির চণ্ডীতলার বরিজহাটির বাসিন্দারা। পুলিশ ওই বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, লুঠপাট করতে এসেই বাধা পেয়ে ওই বৃদ্ধকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে।
চণ্ডীতলার বরিজহাটির পূ্র্বপাড়ার বাসিন্দা পরেশচন্দ্র দাস (৬৫)। পরেশের স্ত্রী মিতা একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজ করেন। সোমবার রাতে তিনি ছিলেন কর্মস্থলে। মঙ্গলবার ভোরে মিতা বাড়ি ফিরে দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা। ঘরে ঢুকতে দেখতে পান আলামারি ভাঙা। মেঝেয় পড়ে রয়েছে পরেশের গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ। মিতা বলছেন, ‘‘ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখি, দরজা খোলা। ওঁর দেহ মেঝেয় পড়ে রয়েছে। ঘরের আলমারি ভাঙা। জিনিসপত্রও লন্ডভন্ড হয়ে ছিল। ঘরের জিনিসপত্র সব নিয়ে গেছে। আমাদের সঙ্গে তো কারও কোনও শত্রুতা ছিল না।’’
পরেশের এ হেন পরিণতিতে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘এই খুনের পিছনে কী কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি কিছুটা স্পষ্ট হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy