কুড়ানো ব্যালট পেপার হাতে পান্ডুয়ার যুগ্ম বিডিও। — ফাইল চিত্র।
গণনাকেন্দ্রের পিছনে ঝোপে ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার রাতে পান্ডুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় বিডিও স্বাতী চক্রবর্তী। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে কী করে সেগুলি ওই জায়গায় গেল, তার কিনারা করা যায়নি বলে হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশ সূত্রের খবর।
ওই ঘটনার জেরে পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির ৩৯ নম্বর আসনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার তারা এই মর্মে বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দেয়। গণনায় ওই আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
পান্ডুয়া ব্লকে ভোট গণনাকেন্দ্র হয়েছিল বৈঁচিগ্রামের একটি বেসরকারি কলেজে। ১১ জুলাই গণনার পরে সোমবার কলেজের পিছনের দিকে ঝোপে ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখেন সাফাইকর্মীরা। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে যুগ্ম বিডিও নব্যেন্দু সেনগুপ্ত গিয়ে সেগুলি উদ্ধার করে আনেন। বিডিওর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশ সূত্রের দাবি, ৭১টি ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি পঞ্চায়েত সমিতির ৩৯ নম্বর আসনের বাটিকা-বৈঁচি এলাকার। সেগুলিতে বিজেপি এবং সিপিএমের প্রতীকের পাশে স্ট্যাম্প দেওয়া রয়েছে।
বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি হীরালাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উদ্ধার হওয়া বেশির ভাগ ব্যালট পেপারে আমাদের প্রতীকে ভোট দেওয়া ছিল। বিজেপিকে হারাতে কী ভাবে চক্রান্ত হয়েছে, এতেই স্পষ্ট। পঞ্চায়েত সমিতির ওই আসনে আমরা পুনর্নির্বাচন চাই। এ নিয়ে বিডিওকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।’’ ব্যালট পেপারগুলি কী ভাবে ওই জায়গায় গেল, তার জবাব বিডিওর দেওয়া উচিত বলে সোমবার মন্তব্য করেছিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘সরকারকে বদনাম করার জন্য সিপিএম, বিজেপি চক্রান্ত করেছে। এখানে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’’
বিডিও ফোন ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপের জবাবও দেননি। যুগ্ম বিডিও সোমবার জানিয়েছিলেন, ব্যালট পেপারগুলি আসল না নকল, যাচাই করে দেখা হবে। এ দিন তিনিও ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy