ব্যাঙ্ক জালিয়াতি নিয়ে বারবার সাধারণ মানুষকে সচেতন করে পুলিশ। এ বার সেই ফাঁদে পড়লেন খোদ এক পুলিশকর্মী। এটিএম কার্ডের নম্বর ও ওটিপি জানাতেই অবসরপ্রাপ্ত ওই পুলিশকর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যান্ডেলের কেওটা ২ নম্বর কলোনির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী নারায়ণচন্দ্র দত্ত চুঁচুড়ার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক। গত বুধবার বিকেলে নারায়ণবাবুর কাছে একটি ফোন আসে। অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, যত শীঘ্র সম্ভব ব্যাঙ্কে কেওয়াইসি জমা দিতে হবে। তা না করলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। নারায়ণবাবু ঘাবড়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে ফের ফোন করে তাঁর এটিএম কার্ডের নম্বর জানতে চাওয়া হয়। সেটা বলে দেন নারায়ণবাবু। এরপর তাঁর ফোনে চারবার ওটিপি আসে। সেটাও ফোন করে জানতে চাওয়া হলে প্রতি বারই বলে দেন তিনি। এরপরই নারায়ণবাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে চারবারে মোট ৪৯হাজার ৩০০টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
বিষয়টি জানতে পেরেই নারায়ণবাবুর ছেলে সন্তু দত্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে পাসবই আপডেট করেই পরিস্থিতি বুঝে যান। শুক্রবার চুঁচুড়া থানার অভিযোগ দায়ের করা হয়। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার সেলেও অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
নারায়ণবাবু বলেন, ‘‘কর্মরত অবস্থায় সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে বহুবার সতর্ক করেছি। আর আমি নিজে ফোন পেয়ে প্রতারকের ফাঁদে পা দিলাম।’’ চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘আরও সচেতনতা প্রয়োজন। এত প্রচার সত্ত্বেও মানুষ এখনও প্রতারকের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন। এটা
খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’’