Advertisement
০৮ মে ২০২৪
West Bengal Panchayat Election 2023

শুধু ভোটের সময় দেখা মেলে কেন? ক্ষোভের মুখে লকেট, সাংসদ দায় চাপালেন তৃণমূলের উপর!

সিঙ্গুরের সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বহু সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাঁরা। এত দিন শাসক-বিরোধী, কোনও রাজনৈতিক দল তাঁদের খোঁজ নেয়নি। সাংসদকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।

Locket Chatterjee

সিঙ্গুরের গ্রামে ভোটপ্রচারে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৩ ১৬:৫২
Share: Save:

শুধু ভোট এলেই কেন দেখা মেলে সাংসদের? অন্য সময় কেন এলাকায় আসেন না? সিঙ্গুরে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে এমনই সব প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত স্তরে তাঁরা কোনও সুযোগ-সুবিধা পান না বলে সাংসদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা। লকেট এর দায় রাজ্যের শাসকদলের উপর চাপাতেই পাল্টা ভিড় থেকে ধেয়ে এল প্রশ্ন— ‘‘তা হলে আপনারা আগে কেন খোঁজ নেননি?’’

বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে রবিবার সিঙ্গুরের আথালিয়া গ্রামে ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন লকেট। অভিনেত্রী-সাংসদ আসার খবর ছড়াতেই ভিড় জমে যায়। সেই ভিড় থেকে কেউ অভিযোগ করেন, বার্ধক্য ভাতা পাননি। কেউ জানান, আবাস পাননি। শুরু হয় অভিযোগের পর অভিযোগ। লকেট সেখানে দাঁড়িয়ে দায়ী করেন শাসকদলকে। কিন্তু ভিড় থেকে সাংসদের উদ্দেশে এক বৃদ্ধ প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘‘ভোটের সময় এসে বললে তো হবে না। আগে থেকে এ সব খোঁজখবর নিতে হয়। শুধু ভোটের সময় বললে হয় না।’’ জবাবে লকেট আবারও বলেন, ‘‘এখন তৃণমূল সরকার চলছে।’’ সাংসদকে বৃদ্ধ পাল্টা বলেন, ‘‘হাজার বার তৃণমূল সরকার চালাক। কিন্তু বিজেপি, সিপিএমের (বিরোধীদের) তো এগুলো দেখার দরকার ছিল। শুধু ভোটের সময় খোঁজ নিয়ে কী হবে!’’

সিঙ্গুরের ওই এলাকার মানুষের অভিযোগ, সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ি পাননি তাঁরা। বার্ধক্য ভাতা জোটে না। এ ছাড়াও বহু সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাঁরা। শাসক-বিরোধী, কোনও রাজনৈতিক দল তাঁদের খোঁজ নেয়নি।

তাঁকে ঘিরে এই ক্ষোভ নিয়ে লকেট বলেন, ‘‘এটাই স্বাভাবিক‌। ওঁরা ভাবছেন, সাংসদ আছে। সব হয়ে যাবে। কিন্তু তাঁরা জানেন না যে, সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্য সরকারের হাত দিয়ে আসে। গ্রামবাসীদের ভুল বোঝানো হচ্ছে।’’ সাংসদের সংযোজন, ‘‘যদিও ওঁদের বোঝানো আমাদেরই দায়িত্ব। আমাদের দল সরকারে আসা না পর্যন্ত, যাঁরা বিজেপি সাংসদ আছি, তাঁরা কাজ করতে পারছি না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের ক্ষোভ আসলে আমাদের উপর নয়। ভোটের আগে এসেছি বলেও নয়। ক্ষোভটা হল, এখানে কোনও উন্নয়ন হয়নি। এখানে রাস্তায় একটা আলো লাগানোর জন্যও আমাদের অনেক লড়াই করতে হয়। গ্ৰামবাসীরা সেটা জানেন না।’’

এ বিষয়ে সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোবিন্দ ধাড়া বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উনি (লকেট)। কিন্তু দু-একটা আলো লাগানো ছাড়া কোনও কাজ করেননি। কেউ বলতে পারবেন না যে, তৃণমূল এখানে কাজ করেনি। এলাকারও যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। আর আবাস না পাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। বার্ধক্য ভাতা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপার। তারা আমাদের প্রাপ্য টাকা দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব তহবিল থেকে সেই টাকা দেবেন বলে ঠিক করেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE