জেলা পরিষদ ও সেদ দপ্তর মজে যাওয়া খাল পরিদর্শন করল। —নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানানোর মাস দেড়েকের মধ্যেই আরামবাগের মায়াপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকার মজে যাওয়া খাল সংস্কারের দিশা খোঁজা শুরু হল। সম্প্রতি জেলা সেচ দফতর এবং জেলা পরিষদ কর্তারা খাল পরিদর্শন করেন। বেহাল নিকাশির অভিযোগ তুলে দীর্ঘ দিন খালটি সংস্কারের দাবি ছিল মায়াপুর-২ পঞ্চায়েত, আরামবাগ পুরসভার একাংশ এবং মায়াপুর ১ পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের। সুরাহা না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
ওই দিন প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রায় ৬ কিলোমিটার ওই খালে জবরদখলের জেরে অনেকাংশের অস্তিত্বই মেলেনি। পরিদর্শক দলের অন্যতম সদস্য, জেলা পরিষদের কৃষি-সেচ ও সমবায় স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মদনমোহন কোলে বলেন, “খালটির নকশা অনুযায়ী হেঁটে গেলে দেখা যাচ্ছে, বহু জায়গা ভরাট হয়ে বাড়ি, চালকল ইত্যাদি হয়েছে। খালটি কোন দফতরের মালিকানায় আছে তা ভূমি সংস্কার দফতরকে সঙ্গে নিয়ে দেখতে বলা হয়েছে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিকে। সেই মতো জলের গতিপথ যথাযথ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।’’
পরিদর্শক দলে থাকা জেলা সেচ দফতরের পক্ষে আরামবাগ মহকুমা সহকারী বাস্তুকার দীনবন্ধু ঘোষ বলেন, “খালটি সেচ দফতরের অধীনে নেই দেখা যাচ্ছে। নকশা অনুযায়ী খালের গতিপথ সরকারি জায়গা না ব্যক্তি মালিকানার— তা ভূমি দফতর নির্দিষ্ট করতে পারবে।”
ওই দলে সেচ দফতরের চাঁপাডাঙা মহকুমা বাস্তুকার কার্তিকদাসও ছিলেন।
মাস দেড়েক আগে খালের অতীত নকশা-সহ মৌজা ম্যাপ ও ছবি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাজে চিঠি পাঠিয়েছিলেন মায়াপুর-২ পঞ্চায়েতের ডিহিবয়রা গ্রামের সমরেশ পণ্ডিত নামে এক বাসিন্দা। সমরেশের অভিযোগ, “স্থানীয় স্তরে খালটি সংস্কারের একাধিক বার দাবি উঠলেও সুরাহা হয়নি। সে কারণেইমুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আবেদন করা হয়েছিল। ফল মেলে কি না, সেটাই এখন দেখার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy