E-Paper

রোগীর আত্মীয়দের বেহুঁশ করে লুটপাট

হাসপাতাল সুপারের দাবি, অচেনা লোকদের কাছ থেকে কোনও কিছু না খাওয়ার আবেদন জানিয়ে হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। কিন্তু মানুষ কোনও ভাবে সচেতন হচ্ছেন না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৪ ০৯:১৮
চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল।

চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।

ফের চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে রোগীর আত্মীয়দের ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে বেহুঁশ করে লুটপাট!

এই হাসপাতালে একই রকম অপরাধ বারবার ঘটে চলেছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্বিকার বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার গভীর রাতে দুই রোগীর আত্মীয়ের সঙ্গে ভাব জমিয়ে তাঁদের হাতে এক ব্যক্তি ঠান্ডা পানীয় তুলে দেয় বলে অভিযোগ। সেই পানীয় খেয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়েন ওই দু’জন। তাঁদের কাছে থাকা মোবাইল ও টাকা খোওয়া যায় বলে পরিবারের অভিযোগ। পরে দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির উপরে জোর দিয়েছেন।

এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতা গোপাল চৌবে শনিবার হাসপাতালে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি হাসপাতালের সুপার সন্তু ঘোষের কাছে অভিযোগ জানান। গোপালের অভিযোগ, এই হাসপাতালে অপরাধমূলক কার্যকলাপ নতুন নয়। তাঁর দাবি, কর্তৃপক্ষকে সিসিক্যামেরা বাড়ানোর কথা বারবার বলা হলেও কাজ হয়নি। তাই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

হাসপাতাল সুপারের দাবি, অচেনা লোকদের কাছ থেকে কোনও কিছু না খাওয়ার আবেদন জানিয়ে হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। কিন্তু মানুষ কোনও ভাবে সচেতন হচ্ছেন না। তিনি জানান, হাসপাতাল চত্বরের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, এ দিনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁর দাবি, রাতে হাসপাতালে টহল চলে। কিন্তু মানুষকে আরও সচেতন
হতে হবে।

গত কয়েক মাসে এই হাসপাতাল চত্বরে কখনও রোগীর আত্মীয়ের গলা থেকে সোনার চেন ছিনতাই, কখনও জরুরি বিভাগের সামনে মদের আসর, কখনও আবার রাতে বিশ্রামে থাকা রোগীর আত্মীয়দের ব্যাগ থেকে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। কোনওটিরই কিনারা করতে
পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, চাঁপদানির বাসিন্দা মহম্মদ সেলিম এবং হরিপালের বাসিন্দা তরুণ দে’র বাড়ির লোক ওই হাসপাতালে ভর্তি থাকায় দু’জনেই শুক্রবার রাতে সেখানে ছিলেন। রাত আড়াইটের পর তাঁদের সঙ্গে ভাব জমান এক ব্যক্তি। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর সেই ব্যক্তি তাঁদের ঠান্ডা পানীয় দেয়। ওই পানীয় খেয়েই হাসপাতাল ভবনের সামনে তাঁরা বেহুঁশ হয়ে পড়েন। শনিবার সকালে পরিবারের অন্য সদস্যেরা এসে ডাকাডাকি করলেও ঘুম ভাঙেনি। তাঁরা জানান, ওই দু’জনের মোবাইল, টাকাপয়সারও হদিস মেলেনি। তারপরেই দু'জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Chandannagar Subdivision Hospital Chandannagar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy