হাঁসফাঁস গরম পড়েনি। তাতেই হুগলির ডানকুনি, গরলগাছা,কালীপুর এবং চণ্ডীতলার একাংশের মানুষ লোডশেডিংয়ে জেরবার। তাঁদের প্রশ্ন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী যখন রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনও সমস্যা নেই, তখন কেন লোডশেডিং হবে ঘন ঘন?
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,বার বার আবেদনের পরেও বিস্তীর্ণ এই অঞ্চলের জন্য রাজ্য বিদ্যুৎবণ্টন সংস্থা কোনও বিদ্যুতেরসাব-স্টেশন করেনি। কলাছড়ায় একটি মাত্র সাব-স্টেশন থেকে বিরাট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ডানকুনি কোল ইন্ডিয়া থেকে গরলগাছা, কালীপুর, ডানকুনি এবং চণ্ডীতলার একাংশে বিদ্যুৎ আসে। তাতে পরিস্থিতিসব সময় সামাল দেওয়া যায়না। তীব্র গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেই কলাছড়ার সাব-স্টেশনের উপরে চাপ পড়ে। কোলইন্ডিয়ার সাব-স্টেশন বিকলথাকে বহু সময়। ফলে, বিদ্যুৎপরিবহণ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েপড়ে। ভোগান্তি চরমে ওঠে। লোডশেডিংয়ের জেরে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও ক্ষতি হয়।
সমস্যা সমাধানে ডানকুনিএবং চণ্ডীতলায় দু’টি ভিন্ন সাব-স্টেশনের দাবি উঠছে। কলাছড়ার সাব-স্টেশনের ক্ষমতা বাড়ানোরও দাবি রয়েছে। কেননা, কলাছড়া এলাকায় গত এক দশকে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নানা ক্লাস্টার গড়েছে। সেখানে হোসিয়ারিশিল্প, আলুর চিপস্ ইত্যাদির ব্যবসা প্রসার লাভ করছে। ফলে, বিদ্যুতের চাহিদাও লাফিয়ে বাড়ছে।অভিযোগ, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিদ্যুতের সাব-স্টেশনের ক্ষমতা না বাড়ায় চাপ বাড়লেই বিকল হয়ে পড়ছে যন্ত্র।
জেলা পরিষদের মেন্টর এবং শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় গরলগাছার বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘‘কোল ইন্ডিয়ার সাব-স্টেশন থেকে এখানকার একাংশে বিদ্যুৎ আসে ফাঁকা মাঠের উপর দিয়ে তারের মাধ্যমে। ঝড় হলেই গাছের পাতা উড়ে তারে পড়ে বিপত্তি বাধে। লোডশেডিং হয়। আমরা দু’টি জায়গা খুঁজছি। জায়গা পেলেই সাব-স্টেশন তৈরির প্রতিশ্রুতি পেয়েছি।’’
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘কলাছড়া সাব-স্টেশনের ক্ষমতা বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। ডানকুনি অঞ্চলে সাব-স্টেশনের উপযোগী জমি খুঁজছি। জমি পেলেই কাজ শুরু হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)