পহেলগামের জঙ্গি হানার প্রত্যাঘাত হিসেবে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই সফল অভিযানের জন্য আনন্দে দুই জেলায় (হাওড়া-হুগলি) বুধবার পথে নামলেন বহু মানুষ। তাঁদের একটা অংশ বিজেপি কর্মী-সমর্থক।
দুপুরে আরামবাগ মহকুমায় বিভিন্ন জায়গায় গ্রামবাসীরা জাতীয় পতাকা নিয়ে উল্লাসে মাতলেন। গোঘাট গ্রামের বাসিন্দারা থানা মোড়ে আবির খেলেন। একই রকম আনন্দে মাততে দেখা যায় পুরশুড়ার সামন্ত রোড, চিলাডাঙি, কামারপুকুরের লাহাবাজারের বাসিন্দাদেরও।
গোঘাটের থানা মোড়ে আনন্দে শামিল মালতি মালিক বলেন, “পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার দরকার ছিল। তা দিয়েছে দেশ। আমরা গর্বিত। শত্রুদের সমূলে উৎখাত করা হোক, আমরা চাই।” কামারপুকুরের লাহাবাজারের শম্ভু লাহা ও পুরশুড়ার নিলয় রায় বলেন, ‘‘পহেলগাম-কাণ্ডের পর অবশেষে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এক রাতে অত জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়া খুবই দরকার ছিল।’’
গ্রামীণ হাওড়ার বিজেপি কর্মীরা এ দিন সকাল থেকেই জাতীয় পতাকা নিয়ে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে উচ্ছ্বাস দেখান। পরস্পরকে গেরুয়া আবির মাখান। মিষ্টিমুখ করান। বাজি ফাটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান তাঁরা। উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কর্মীরা যদুরবেড়িয়া, পানপুর মোড় ও রথতলায় বাজি ফাটিয়ে উল্লাসে মাতেন।
সন্ধ্যায় চুঁচুড়ার পিপুলপাতির হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে মিছিল শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। যদিও এই কর্মসূচির সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্কে নেই বলে দাবি তাঁদের। ‘অপারেশন সিঁদুর’ লেখা এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত ব্যানার নিয়ে ওই মিছিল চুঁচুড়া শহরবাসীর পক্ষ থেকে করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের। জাতীয় পতাকা হাতে ওই মিছিল থেকে দলের মহিলা কর্মীরা পরস্পরকে সিঁদুর পরান। পথচলতি মানুষকে লাড্ডু বিতরণ করা হয়। ভারতীয় সেনার নামে জয়ধ্বনি ওঠে। সায়রা মোড়ে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। বলাগড়েও জিরাট বাস স্ট্যান্ড থেকে কালিয়াগড় চৌমাথা পর্যন্ত দু’কিলোমিটার এবং একতারপুর বাজার এলাকায় এক কিলোমিটার জাতীয় পতাকা হাতে মিছিল করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)