হুগলির চণ্ডীতলায় যে ভুয়ো মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ধরা পড়েছেন, তিনি এক পরীক্ষার্থীর দিদি। পুলিশ জানতে পেরেছে, কলেজে পড়েন ওই তরুণী। বোনের বদলে তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হাজির হয়েছিলেন চণ্ডীতলার গরলগাছি বালিকা বিদ্যালয়ে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার প্রথম দিনে চণ্ডীতলার একটি স্কুলে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন এক কলেজপড়ুয়া তরুণী। পরীক্ষক অ্যাডমিট কার্ড পরীক্ষা করার সময় দেখেন ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর মুখের মিল নেই। তাঁর সন্দেহ হওয়ায় তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। সেখান থেকে খবর যায় পুলিশে। অভিযুক্তকে ধরে থানায় নিয়ে যায় চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তিনি কলেজে পড়াশোনা করেন। তাঁর বোন এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কুমিরমোরা আরকেএন হাই স্কুলের সেই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছে গরলগাছা বালিকা বিদ্যালয়ে। কিন্তু বোনের বদলে তিনি পরীক্ষা দিতে যান।
মাধ্যমিক পরীক্ষার ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক কৌশিক শীল চণ্ডীতলা থানায় গিয়েছিলেন পুরো বিষয়টি জানতে। থানা থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘গরলগাছা বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছে কুমিরমোরা আরকেএন হাই স্কুলের পড়ুয়াদের। সেখানে এক ছাত্রীর হয়ে তার দিদি পরীক্ষা দিতে ঢুকে পড়েন। পরীক্ষক যিনি ছিলেন, তিনি অ্যাডমিট কার্ডের সঙ্গে পরীক্ষার্থীর মুখের মিল খুঁজে পাননি। তখনই ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। খবর দেওয়া হয় থানায়। জানা গিয়েছে, এক পরীক্ষার্থীর দিদি তিনি। বোনের হয়ে পরীক্ষা দিতে ঢুকে পড়েছিলেন। পুলিশকে আমরা সমস্ত কিছু জানিয়েছি। শিক্ষা দফতর এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘পরীক্ষায় বসার আগেই অভিযুক্তকে ধরা গিয়েছে। এখন আইন অনুযায়ী বাকি পদক্ষেপ করা হবে।’’
আরও পড়ুন:
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সূত্রে খবর, শিক্ষা দফতর থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে ওই কলেজছাত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।