Advertisement
০৮ মে ২০২৪
Suvendu Adhikari

চন্দননগরে বিজেপির সভা, যাত্রীদের দুর্ভোগ

চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট জানিয়েছে, এ দিন জিটি রোডের ধারে যে সব জুটমিল এবং কারখানা রয়েছে, তাদের মালবাহী গাড়িকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।

বিজেপির শোভাযাত্রা চন্দননগরে। ছবি: তাপস ঘোষ

বিজেপির শোভাযাত্রা চন্দননগরে। ছবি: তাপস ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দননগর শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:১৩
Share: Save:

চন্দননগরে বিজেপির শোভযাত্রায় বুধবার দিনভর পথে বের হয়ে নাকাল হলেন সাধারণ মানুষ। বিপাকে পড়লেন ট্রাক-চালকেরা।

বিজেপির ওই কর্মসূচির জন্য এ দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জিটি রোডে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে, বাসযাত্রীরা নাকাল হন। শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি রোড ধরে শ্বেতপুর মোড় হয়ে চন্দননগরে ঢোকায় পুলিশকে দিল্লি রোডেও যান নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। বৈদ্যবাটী-চৌমাথা থেকে দিল্লি রোড যাওয়ার দীর্ঘ রাস্তার পাশে দিনভর ট্রাকগুলিকে দাঁড় করিয়ে দেয় পুলিশ। ফলে, বিপাকে পড়েন ট্রাক-চালকেরা।

চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট জানিয়েছে, এ দিন জিটি রোডের ধারে যে সব জুটমিল এবং কারখানা রয়েছে, তাদের মালবাহী গাড়িকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। টোটো-অটো নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘এটা ঠিকই, দুপুরে একটি রাজনৈতিক দলের পদযাত্রা ও সভা থাকায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে সেই কর্মসূচি শেষে হওয়ার পর সমস্ত নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া হয়।’’

প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন চুঁচুড়ার তালডাঙা মোড় হয়ে জিটি রোড ধরে বিজেপির মিছিল শুরু হয় দুপুর ২টোর পর। সেই মিছিল সোজা চন্দননগরের জ্যোতির মোড় হয়ে মানকুণ্ডু সার্কাস ময়দানে জনসভায় যায়। বিজেপির সমর্থকদের অনেকে ভাড়া করা গাড়িতেও জনসভায় আসেন। সব মিলিয়ে জিটি রোড দিনভর কার্যত বিজেপি সমর্থকদের দখলে ছিল। তার জেরে মগরা বা পান্ডুয়ার দিক থেকে জিটি রোডধরে আসা গাড়িগুলিকে পুলিশ খাদিনা মোড় হয়ে দিল্লি রোডেরদিকে ঘুরিয়ে দেয়। একই ভাবে শ্রীরামপুরের দিক থেকে জিটি রোড ধরে যাওয়া গাড়িগুলিকে বৈদ্যবাটী-চৌমাথা হয়ে দিল্লি রোডের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।

বৈদ্যবাটীর বাসিন্দা রবিন ঘোষ এ দিন বিশেষ কাজে নিজের গাড়িতে মেমারি যাচ্ছিলেন। পুলিশ তাঁকে দিল্লি রোডের দীর্ঘাঙ্গি মোড় থেকে ঘুরিয়ে দেয়। রবিনবাবু বলেন, ‘‘আমি উপায় না পেয়ে সোজা সিঙ্গুর হয়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মেমারি যাই।’’ সকালে ভুগতে হয়েছে শেওড়াফুলির বাসিন্দা সমীর ঘোষকেও। তিনি ব্যক্তিগত কাজে বেরিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপির কর্মসূচির কথা জানা ছিল না। জিটি রোডে বহুক্ষণ দাঁড়িয়েও বাস পাইনি। আমার কাজটাই পণ্ড হয়ে যায়। আমার প্রশ্ন, একটি রাজনৈতির দলের জন্য কেন একই সঙ্গে জেলার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Chandannagar Suvendu Adhikari
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE