Advertisement
E-Paper

চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ায় নাম জড়াল নেতার

অভিযোগ, চাকরি না হওয়ায় চাকরিপ্রার্থী যুবকের বাবাকে একটি পুজো কমিটির চেক ধরান নবীন। পরে ব্যাঙ্কে ‘স্টপ পেমেন্ট’ (অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা না দেওয়া) করা হয়।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩ ০৬:৫৯
বলাগড়ের আরও একজন তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে নালিশ।

বলাগড়ের আরও একজন তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে নালিশ। প্রতীকী চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের দুই যুব তৃণমূল নেতা কু্ন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন। এ নিয়ে হইচইয়ের মাঝেই স্কুলে চাকরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে নাম জড়াল বলাগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ‘প্রতারিত’ যুবকের বাবা তৃণমূলের নেতৃ্ত্বের দ্বারস্থ হয়েছেন।

অভিযোগ, চাকরি না হওয়ায় চাকরিপ্রার্থী যুবকের বাবাকে একটি পুজো কমিটির চেক ধরান নবীন। পরে ব্যাঙ্কে ‘স্টপ পেমেন্ট’ (অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা না দেওয়া) করা হয়। ফলে, ওই ব্যক্তি টাকা পাননি। বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ‘‘আমাদের দলের নেতা যদি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়ে কাউকেপ্রতারিত করে থাকেন, তা হলে দলীয় স্তরে এবং আইন মোতাবেক ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ওই নেতার ভাবমূর্তি প্রশ্নাতীত নয়। ওই যুবক এবং তাঁর পরিবারের পাশে আছি।’’ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নবীন।

‘প্রতারিত’ যুবকের বাড়ি বলাগড়ের রুকেশপুরে। তাঁর বাবা সুনীল দাসের অভিযোগ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলের চাকরির জন্য ২০২১ সালে তিনি নবীনকে এক লক্ষ টাকা দেন। চাকরি হয়নি। টাকা ফেরত চাইলে ঘোরাতে থাকেন। তখন বিধায়কের কাছে তিনি অভিযোগ জানান। তাঁর কথায়, ‘‘বিধায়ককে জানানোয় উনি(নবীন) রেগে যান। আমাকে তাড়িয়ে দেন। এক টাকাও ফেরত দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। পরে, গত জানুয়ারিতে নবীনবাবু একটি পুজো কমিটির নামে ৪৫ হাজার টাকা করে দু’টি চেক দেন। প্রথম চেকের তারিখ ছিল গত ২২ ফেব্রুয়ারি। ব্যাঙ্ক জানায়, অ্যাকাউন্টে টাকাই নেই।’’ সুনীল জানান, তৃণমূলের আরও অনেক নেতাকে বিষয়টি জানান তিনি। তবে, থানা-পুলিশ করেননি।

নবীনের দাবি, ‘‘সুনীল নামে কাউকে চিনিই না। টাকা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’’ একইসঙ্গে অবশ্য তিনি বলেন, ‘‘আমাদের স্থানীয় দুর্গোৎসব কমিটির একটি মন্দির হচ্ছে। লোহা, সিমেন্ট আনার জন্য এক জনকে দু’টি চেক দেওয়ার কথা ছিল। সেই দু’টি চেক চুরি গিয়েছে। এ বার বুঝতে পারছি, কে চুরি করেছে।’’

ওই পুজো কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘‘লুকোনোর কিছু নেই। দু’টি ফাঁকা চেক দিতে বলা হয়েছিল, দিয়েছি। কাকে ওই চেক দেওয়া হয়েছে, জানা নেই। আবার, হঠাৎ করে স্টপ পেমেন্টের জন্য ব্যাঙ্কে জানাতে বলা হয়। তাই করেছি। ওই চেক নিয়ে কোনও অস্বচ্ছতা থেকে থাকলে, তাতে আমি কোনও ভাবেই নেই।’’ চেকের বিষয়টি তাঁদের কানে পৌঁছেছে বলে ব্লকের একাধিক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন।

Chinsurah Balagarh tmc leader
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy