বাঁকড়া-কাণ্ডের পরে পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনও অধরা অভিযুক্তেরা। পুলিশের হাতে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনও সূত্র আসেনি, যা থেকেউত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই তরুণীকে ফ্ল্যাটে আটকে রেখে অকথ্য নির্যাতনে অভিযুক্ত মহিলা ও তাঁর পরিবারের সন্ধান মিলতে পারে। তাই শুধুমাত্র ওই মহিলার আত্মীয়স্বজন ও সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদেই আটকে আছে পুলিশি তদন্ত। অন্য দিকে, কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার তাঁকে সেখানেই সিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের সন্ধান এখনও মেলেনি। এখন কয়েক জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’ একই সঙ্গে ওই পুলিশকর্তা জানান, অভিযুক্তদের বিদেশে পালানোর মতো কোনও সূত্র মেলেনি। তবে যে হেতু পরিবারটির ভিন্ রাজ্যে ব্যবসার কাজে যাতায়াত ছিল, তাই সেই সব রাজ্যে অভিযুক্তেরা লুকিয়ে আছে কিনা, তা দেখতে পুলিশের দল পাঠানো হবে।
হাওড়ার বাঁকড়ার ফকিরপাড়ার এক মহিলার ফ্ল্যাটে ওই তরুণীকে আটকে রেখে কয়েক মাস ধরে অত্যাচার করার পরে তাঁর চুল কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, এ দিন ওই ফ্ল্যাটের আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে এক গোছা চুল মিলেছে। সেই চুল ওই তরুণীরই কিনা জানতে সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।
এ দিন দ্বিতীয় দফায় হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা চিকিৎসাধীন তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যান। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিনও তরুণী অভিযুক্ত মহিলার ছেলে অর্থাৎ তাঁর প্রেমিককে অত্যাচারের অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছেন। তিনি জানান, ওই যুবক তাঁর মাকে এতই ভয় পান যে, তাঁর উপরে অত্যাচারের সময়েও ওই যুবক প্রতিবাদ করতে পারেননি। আক্রান্ত তরুণী পুলিশের কাছে অভিযুক্ত মহিলার কঠিনতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)