E-Paper

১০০ দিনের বকেয়া মেটাচ্ছে রাজ্য, প্রতি ব্লকে কন্ট্রোল-রুম

শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে ব্লক প্রশাসনের কন্ট্রোল-রুম থেকে যোগাযোগ করাও শুরু হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৩৫
-

—প্রতীকী চিত্র।

রাজ্য সরকারের ঘোষণা মতো সোমবার থেকে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের অদক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি মেটানো শুরু হল। এ দিন হাওড়া ও হুগলি জেলার বহু শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গিয়েছে।

হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮টি ব্লকের ২০৭টি পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার শ্রমিকের পাওনা দফায় দফায় ১ মার্চের মধ্যে পাঠাবে ব্লক প্রশাসন। শ্রমিকদের সুবিধা-অসুবিধা জানতে প্রতি ব্লকে কন্ট্রোল-রুম খোলা হয়েছে। এখানে দেওয়া হবে মোট ৮২ কোটি ৫২ লক্ষ ৫২ হাজার ৩০৩ টাকা।

তবে, প্রথম দিন মোট কত শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, তা রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। সেই হিসাব চলছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) তরুণ ভট্টাচার্য। এ নিয়ে এ দিন পান্ডুয়া ব্লকের ১৬টি পঞ্চায়েতের প্রধান-উপপ্রধান এবং ঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ময়না গাজির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন বিডিও সেবন্তী বিশ্বাস। তিনি জানান, যাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেছেন, তাঁদের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে সঠিক মানুষের অ্যাকাউন্টে যাতে টাকা পৌঁছয়, সে জন্য এই বৈঠক করা হয়।

এ দিন যে সব শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে ব্লক প্রশাসনের কন্ট্রোল-রুম থেকে যোগাযোগ করাও শুরু হয়েছে। গোঘাটের পশ্চিমপাড়ার ভাতশালার শ্রমিক মন্টু কুন্ডু বলেন, “আমার অ্যাকাউন্টে ৩ হাজার ২০০ টাকা ঢুকেছে। ব্লক প্রশাসন থেকে ফোনে আমাকে মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে শুভেচ্ছাও জানানো হয়। বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা-বার্তাও পৌঁছে যাবে বলা হয়েছে।”

হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে বকেয়া মজুরি বাবদ দেওয়া হবে মোট ৮৯ কোটি ৮৫ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। বিভিন্ন ব্লকের তরফে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট শাখায় সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের নাম এবং তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ জমা দেওয়া হচ্ছে। ওই ব্যাঙ্ক থেকে শ্রমিকদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে তাঁদের বকেয়া টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি বলেন, ‘‘সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। যদি কোনও শ্রমিকের টাকা পেতে সমস্যা হয়, সে জন্য কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। সেখানে সমস্যা মেটানো হবে। কারও কোনও অসুবিধা থাকবে না।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রতি ব্লকে দু’টি করে কন্ট্রোল-রুম করা হয়েছে। যদিও এ দিন কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Arambagh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy