Advertisement
E-Paper

হাওড়ায় কমছে সংক্রমণের হার, ঘাটতি ভ্যাকসিন-অক্সিজেনের

নিয়ম না মানলে ফের সংক্রমণ বাড়া নিয়ে মানুষকে সতর্কও করছেন চিকিৎসকরা। 

নুরুল আবসার

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২১ ০৫:০৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

উলট পুরাণ দেখা যাচ্ছে হাওড়া জেলায়। মার্চ, এপ্রিল মাসে ঝোড়ো ব্যাটিং চালানোর পরে এ বার কিছুটা থিতু হয়েছে করোনা সংক্রমণ। এপ্রিলের ২৬ তারিখ পর্যন্ত দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে গড়ে ৫০ করে। পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত গত সাতদিনে দৈনিক সংক্রমণ কমেছে বেশ খানিকটা।

কী বলছে রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের পরিসংখ্যান?

২৭ এপ্রিল দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৯৩৯ জনের। ২৮ এপ্রিল দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৯৫৫ জনের। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণ ২৬টির বেশি ছিল। ২৯ এপ্রিল আবার দৈনিক সংক্রমণ কমে হয় ৯২৭। ৩০ এপ্রিল দৈনিক সংক্রমণ কমে দাঁড়ায় ৯২২। ১ মে আবার দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা বেড়ে হয় ৯৬৪। অর্থাৎ আগের দিনের থেকে ৪২ জন বেশি ছিল।

দেখা যাক এর ঠিক আগের সপ্তাহের পরিসংখ্যান। ২১ এপ্রিল দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৬২৬, ২২ এপ্রিল ৬৭১, ২৩ এপ্রিল ছিল ৭৪৭। ওই সময়ের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ কার্যত লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। কমার কোনও চিহ্ন ওই সময়ের মধ্যে দেখা যায়নি।

কেন কমছে দৈনিক সংক্রমণ?

এ বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না এলেও সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ ভোট-মরসুমকেই দায়ী করেছেন। তাঁদের যুক্তি, জেলায় দু’টি দফায় নির্বাচন হয়েছে ৬ এবং ১০ এপ্রিল। তার আগে জনসভা, পদযাত্রা, রোড শো-তে বিভিন্ন দলের হাজার হাজার কর্মী সমর্থক যোগ দিয়েছেন। অনেকেই মাস্ক পরেননি। শারীরিক দূরত্বের কোনও বালাই ছিল না। তারই জেরে সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বেড়েছে। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরে সমাবেশ, সভা, রোড শো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার জেরে ফের কমতে শুরু করেছে সংক্রমণ।

চিকিৎসকদের একাংশের আরও যুক্তি, সংক্রমণ যখন দ্রুত হারে বাড়ছিল তখন জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখার জন্য প্রচার চলে। আর সারা দেশের ভয়াবহ ছবিও মানুষের মনে কিছুটা ভীতি ধরিয়েছে। তার জেরে ধীরে ধীরে মাস্ক পরার প্রবণতা বাড়ছে মানুষের। সংক্রমণ কমার জন্য এই কারণটিও দায়ী। সম্প্রতি দোকান বাজার আংশিক বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী দিনে তারও সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের।

তবে এতেই নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে এখনও কিছু মানুষ অসচেতন। কিন্তু ওই নিয়ম না মানলে ফের সংক্রমণ বাড়া নিয়ে মানুষকে সতর্কও করছেন চিকিৎসকরা।

এ দিকে জেলায় অক্সিজেনের জোগান চাহিদার তুলনায় এখনও বেশ কম। জোগান নেই ভ্যাকসিনেরও। উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভেন্ডারের কাছে বারবার তাগাদা করেও অক্সিজেন মিলছে ন‌া। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা নিরুপায় হয়ে বীরশিবপুরের একটি অক্সিজেন প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছ থেকে অক্সিজেন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই সমস্যা জেলা জুড়ে। বিষয়টি রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তাকেও জানানো হয়েছে। অন্য দিকে প্রয়োজনের তুলনায় ভ্যাকসিন না আসায় টিকাকরণের সমস্যা হচ্ছে বলেও জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। ফলে এখন প্রথম ডোজ দেওয়া কার্যত বন্ধ। যা ভ্যাকসিন আসছে তাতে শুধু দ্বিতীয় ডোজটিই দেওয়া হচ্ছে।

COVID-19 coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy