প্রতীকী ছবি।
কলকাতার মতো হাওড়াতেও বাড়ছে করোনার প্রকোপ। বিশেষত, হাওড়া পুর এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার অনেকটাই বেশি। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০ দিনে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ জন। যার মধ্যে গত এক সপ্তাহেই আক্রান্তের সংখ্যা ১৮। তাঁদের বেশির ভাগই হাওড়া পুর এলাকার বাসিন্দা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফের হোর্ডিং ও পোস্টারের মাধ্যমে মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করার বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করছে পুরসভা। পাশাপাশি, যাঁরা এখনও প্রতিষেধক নেননি, তাঁদের প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য এলাকাভিত্তিক ভাবে শিবির করার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব বলছে, গত ২৫ মে থেকে মঙ্গলবার, ১৪ জুন পর্যন্ত হাওড়ায় কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন ৫০ জন। প্রতিদিনই তিন-চার জন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশের দাবি, অনেকেই কোভিড পরীক্ষা করাতে না-চাওয়ায় আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। সংক্রমণ বৃদ্ধির হার দেখে অনুমান করা হচ্ছে, মানুষ দ্রুত সচেতন না হলে এক মাসের মধ্যে অতিমারি আবার মারাত্মক আকার নেবে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই মণ্ডল বলেন, ‘‘হাওড়া শহরে, বিশেষত শিবপুর এলাকায় করোনার প্রকোপ বেশি। প্রতিদিনই সেখানে কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন। মানুষ এখনও সচেতন না হলে সমস্যা বাড়বে।’’ তিনি জানান, গত তিন মাসে জেলায় কেউ করোনায় মারা যাননি। শেষ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ২৪ ফেব্রুয়ারি। তা সত্ত্বেও এই রোগ নিয়ে নাগরিকদের একাংশের গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। দৈনিক করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই সব হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়াতে বলা হয়েছে প্রতিষেধক প্রদান কর্মসূচি।
পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বহু মানুষ এখনও প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ়ই নেননি। তাঁদের চিহ্নিত করে প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য আঞ্চলিক শিবির করা হবে। বাধ্যতামূলক করা হবে মাস্ক পরা। জনবহুল জায়গায় প্রচার চালানো হবে। ভিড় এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেওয়া হবে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy