Advertisement
E-Paper

বন্দুক দেখিয়ে দোকান থেকে কয়েক লক্ষের সোনার গয়না ডাকাতি, পুরুলিয়া, নদিয়ার পর এ বার হাওড়া

সোনার দোকানের মালিকের দাবি, দুষ্কৃতীরা প্রথমে দাম দিয়ে রুপোর গয়না কেনে। তাতে তাঁর বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল। এর পরেই সোনার গয়না দেখাতে বলে বন্দুক বার করে দুই ডাকাত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩৩
হাওড়ায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার পরের দৃশ্য।

হাওড়ায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার পরের দৃশ্য। — নিজস্ব চিত্র।

হাওড়ার শ্যামপুরে সোনার গয়নার ব্যবসায়ীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার দোকানে ডাকাতি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুরের শশাটিতে।

জানা গিয়েছে, বেলা ১২টা নাগাদ দুই ব্যক্তি ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ঢোকেন। রুপোর কিছু জিনিস তাঁরা দেখতে চান। দোকানি সেই মতো তাঁদের রুপোর জিনিসপত্র দেখাচ্ছিলেন। কিছু জিনিস পছন্দ করে দামও মিটিয়ে দেন। এর পর তাঁরা সোনায় গয়নাও দেখতে চান। দোকানদার সোনার গয়না সাজিয়ে দেন তাঁদের সামনে। সেই সময়েই আচমকা পিস্তল বার করেন তাঁরা। বন্দুক দেখিয়ে প্রাণের মারার হুঁশিয়ারি দিয়ে দোকানের সোনার গয়না লুট করে চম্পট দুই দুষ্কৃতীর।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দোকানের মালিক সুবীর রায় বলেন, ‘‘প্রায় ৪ লক্ষ টাকার সোনার গয়না নিয়ে ওই দুষ্কৃতীরা পালায়। ক্রেতা সেজে রুপোর গয়না কিনে তার দাম দিয়ে দেন। এর পর সোনার গয়না দেখতে চান। তাই বুঝতেই পারিনি যে, ওঁরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেছেন।’’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন শ্যামপুর থানার পুলিশ ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তদন্ত শুরু হলেও এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। এর আগেও সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রথমে রুপোর গয়না কিনে দোকানদারের বিশ্বাস অর্জন করার পর সোনায় গয়না দেখতে চাওয়ার ফর্মুলা একেবারেই নতুন। শ্যামপুরের গয়নার দোকানের মালিক যেমন জানিয়েছেন, রুপোর গয়না কেনায় ক্রেতাদের উপর তাঁর বিশ্বাস জন্মেছিল। সেই বিশ্বাসেরই ফয়দা তুলে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না লুট করল ডাকাতরা।

গত বছর ২৯ অগস্ট পুরুলিয়া শহর এবং নদিয়ার রানাঘাটে একই সংস্থার দু’টি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। দু’টি মামলাতেই বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। উঠে এসেছিল বিহার-যোগের কথা। তার পরেও রাজ্যের একাধিক জায়গায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। তবে লুটের বহরে পুরুলিয়া এবং রানাঘাটের ঘটনাই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy